২৪ ঘণ্টা সরবরাহ বন্ধ রাখার পর ফের গাড়িতে গ্যাস (সিএনজি) দিতে শুরু করেছে ফিলিং স্টেশনগুলো।
Published : 27 Sep 2015, 12:40 AM
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের দিন শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আগেই এসেছিল।
শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র। দেশের উৎপাদিত মোট গ্যাসের প্রায় ৪৫ শতাংশই আসে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
শনিবার ঈদের পরদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় গণপরিবহনের অভাবে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে। অনেকক্ষেত্রে বেশিভাড়া গুণেও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মতো যান পাওয়া যায়নি।
তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাত ১২টার আগেই গ্যাস নিতে ফাঁকা হয়ে পড়া ঢাকার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
যেসব গণপরিবহন দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে পড়েছিল অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে সেগুলোকেও।
সন্ধ্যা থেকে গ্যাসের জন্য ফিলিং স্টেশনের সামনে অপেক্ষায় আছেন বলে জানালেন আবুল কালাম নামে এক প্রাইভেটকার চালক। মগবাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।
গুলিস্থান-আব্দুল্লাপুর রুটে চলাচলরত তিন নম্বর বাসের এক চালক জানান, গত রাতে যা গ্যাস পেয়েছিলেন তা দিয়ে তিন ট্রিপ দিতে পেরেছেন। গ্যাস শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা থেকেই স্টেশনের সামনে অপেক্ষায় আছেন।
সাত রাস্তায় কথা হয় আবুল হোসেন নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “সারাদিনে আয় করেছি ৫০০ টাকা। গত ১ ঘণ্টা ধরে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছি।”
রাত ১২টার পর পরই মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো গ্যাস দিতে শুরু করে বলে জানান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদকরা।
ঈদকে সামনে রেখে ঈদের আগে থেকে পরের তিন দিনসহ মোট সাতদিন ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিলেও পরে বিবিয়ানার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।
এমনিতে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকে।
সারা দেশে ৫৭০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনে মোট গ্যাস সরবরাহের মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে।