মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর সভাপতি এম এস জামান বলছেন, পুরো দেশ সাত দিন বন্ধ থাকার কারণে ডলার সরবরাহ কমে গেছে, তাই এ সংকট।
Published : 01 Aug 2024, 11:35 PM
খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ১১৯ টাকায় বেঁধে দেওয়া হলেও তা মানছে না মানি এক্সচেঞ্জগুলো।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক মানি চেঞ্জার ডলার বিক্রি করছে না।
বিক্রেতারা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট ও যোগাযোগ বন্ধ ছিল যে সময়টায়, তখন তারা কেনার জন্য ডলার পাননি। হাতে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় এখন চাহিদা বেড়েছে।
অথচ মানি এক্সচেঞ্জগুলোর লোকজন আশপাশের অলিগলিতে ১২৫ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার বিক্রি করছে।
বুধবার ডলারের বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ১১৯ টাকায় বেঁধে দিয়ে মানি চেঞ্জারগুলোকে চিঠি দেয় মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। কিন্তু সেই দরে ডলার কেনা যাচ্ছে না।
গুলশান ও মতিঝিলের মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে দেখা গেল, ক্রেতারা ডলার কিনতে এলেও মানি চেঞ্জারগুলো বিক্রি করছে না। কিন্তু তাদেরই লোকজন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং ক্রেতাদের একটু আড়ালে নিয়ে জানতে চাইছেন তার কত ডলার দরকার।
এক ক্রেতা জানালেন, তিনি ৫০০ ডলার কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন। চেঞ্জার বলছে ডলার নেই। আর দোকান থেকে বের হওয়ার পর লোকজন এসে তাকে বলছে, ১২৫ টাকা দরে নিলে তিনি ডলার পেতে পারেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর সভাপতি এম এস জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুরো দেশ সাত দিন বন্ধ থাকার কারণে ডলার সরবরাহ কমে গেছে। বিদেশ থেকে ডলার দেশে আসছে না। তাই ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা যা আছে, সে অনুযায়ী যোগান বাড়ছে না।”
১১৯ টাকার যে দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা কার্যকর হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কিছু তিনি ‘জানেন না’।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে খোলা বাজারে ডলারের দর ১২৫ টাকায় উঠে যায়। দুই সপ্তাহ আগেও ডলারের দর ছিল ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে (২১ থেকে ২৭ জুলাই) দেশে রেমিটেন্স এসেছে মাত্র ১৩৮ মিলিয়ন ডলার। তবে জুলাইয়ের ৩১ দিনে মোট ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।