আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে থাকায় খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনা বাড়িয়েছে সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চার কার্গো এলএনজি কেনার চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের তিনটি ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বৈঠক শেষে বলেন, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (১ মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি ৪৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে ১০ দশমিক ৯৮ ডলার যা আগের কেনাকাটায় ছিল ১৩ দশমিক ২৮ ডলার।
সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে আরেকটি ক্রয়প্রস্তাবে ৫০৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৫ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১১ দশমিক ৮৮ ডলার যা আগের কেনাকাটায় ছিল ১৩ দশমিক ২১ ডলার।
সিঙ্গাপুরের আরেক কোম্পানি গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে আরেক প্রস্তাবে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এখানে প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে ১২ দশমিক ৪৭ ডলার, যা আগের বারের ১৩ দশমিক ২৮ ডলারের চেয়ে কম।
সর্বশেষ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে ৫১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৩১ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে ১২ দশমিক ১৯ ডলার, যা আগের কেনাকাটায় ছিল ১৩ দশমিক ২১ ডলার।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদের প্রশ্নেত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, গ্যাস সংকট মেটাতে সরকার খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি তখন সংসদকে বলেছিলেন, ২০০৮ সালে দেশের দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা ২০১৮ সালে বেড়ে ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়ায়।
বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদনের ক্ষমতা ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গরম আসার আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।
পুরনো খবর -