আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অর্থ নেওয়া যাবে।
Published : 10 Apr 2023, 01:18 AM
মূলধনি যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও সরকারি পর্যায়ে আমদানিতে অফশোর ব্যাংকিং থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রমে অর্থায়নের পরিমাণ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক লেনদেনের জন্য ব্যাংকের মোট ‘রেগুলেটরি’ মূলধনের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ অর্থ অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে নেওয়া যাবে, আগে এ হার ছিল ২৫ শতাংশ।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ হারে অফশোর ইউনিট থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অর্থ নেওয়া যাবে।
এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও সরকারি পর্যায়ে আমদানিতে অফশোর ব্যাংকিং থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিংয়ে মোট রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ তহবিল স্থানান্তরের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এ বছর জুলাই পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবসহ নানা কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে পড়ে। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করাসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে আসছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর সংকটে দেশি ও বিদেশি মুদ্রায় তারল্যের যোগানও দেওয়া হচ্ছে।
এমন অব্স্থায় এ নীতিমালায় ছাড় দেওয়ার কথা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, অফশোর ব্যাংকিং থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রমে মূলধন স্থানান্তর (প্লেসমেন্ট) করতে পারে না।
কিন্তু সংকট সামলাতে গত বছরের জুলাই মাসে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা নীতিমালার ৭.৩ অনুচ্ছেদ ছয় মাসের জন্য শিথিল করে ফান্ড প্লেসমেন্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়।
এতে ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিংয়ে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে ব্যাংকের সব শাখা পণ্য আমদানির দায় পরিশোধের সুযোগ পায়।