"আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে আমরা কর্মবিরতির আন্দোলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করব, অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।"
Published : 03 Jul 2024, 03:14 PM
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আজ সন্ধ্যায় ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেটি তিনি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে ঠিক করেছেন। আমরা শিক্ষক নেতৃবৃন্দ তার সাথে দেখা করে আমাদের দাবি তুলে ধরব।”
অবশ্য বৈঠকের সময় নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের কাছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেছেন, "স্যারের সঙ্গে উনারা বৈঠক করার কথা বলেছেন, স্যার এখন পর্যন্ত সময় দেননি। স্যার বলেছেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বসতে। তার পরেও স্যার সময় দিলে জানতে পারবেন।"
অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, "আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে আমরা কর্মবিরতির আন্দোলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করব, অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।"
এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ তিন দাবিতে তৃতীয় দিনের মত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা।
বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও খোলা হয়নি।
দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষকরা কলা ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা অবস্থান কর্মসূচিতে বলেন, “বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা ৩ দফা দাবি জানিয়েছি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে। দাবিগুলো যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”
গত মার্চ মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা।
শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, এ স্কিম ‘বৈষম্যমূলক’। এতে ১ জুলাই এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।