চলতি বছর এখন পর্যন্ত কেনা হল ১৫ কার্গো। ইউনিটপ্রতি দর তিন বছর আগের কাছাকাছি নেমে আসায় স্বস্তিতে সরকার।
Published : 03 Apr 2024, 08:41 PM
সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক তিনটি কোম্পানি থেকে আরো তিন কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রতি ইউনিটের জন্য ৯ দশমিক ৬৮ ডলার, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ৯ ডলার ৮৯ সেন্ট এবং গানভার সিঙ্গাপুর দর নেবে ৯ দশমিক ৪৯ ডলার।
এক কার্গো এলএনজিতে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ গ্যাস ধরে। এই হিসাবে সরকারের খরচ হবে মোট ১ হাজার ২৫৬ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮ টাকা।
এ নিয়ে চলতি বছরে ১৫ কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিল সরকার।
এর আগে সবশেষ ১৪ মার্চ সরকার চার কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে। সেদিন ইউনিটপ্রতি দাম ধরা হয় ৯ ডলার ২৩ সেন্ট থেকে ৯ ডলার ৭৮ সেন্ট।
অর্থাৎ তিন সপ্তাহ আগে কিছুটা কম দরে জ্বালানি কিনতে পেরেছিল সরকার।
দেশে গ্যাসের উৎপাদন দেশে কম হওয়ায় সরকার এলএনজি আমদানি করেই বাড়তি চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে। ২০২১ সালে ইউনিটপ্রতি ৭ ডলারেও দামেও এলএনজি কিনতে পারত সরকার। ২০২২ সালে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর সেই দর বেড়ে ৮০ ডলার ছুঁয়ে ফেলে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৪ ডলার করে এলএনজি কিনেছিল। এরপর দাম বাড়লে কেনা স্থগিত রাখে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়।
২০২৩ সালে দাম ২০ ডলারের নিচে নামলে আবার এলএনজি কিনতে শুরু করে সরকার। চলতি বছর তা ১০ ডলারের নিচে নামায় কিছুটা স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ।
আর যা যা কেনা হচ্ছে
বৈঠকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি বা কাফকোর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবও পাস হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাবে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।
টিসিবির বিতরণের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কেজি প্রতি ১০২ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব পাস হয়েছে। সেনাকল্যাণ সংস্থা ও নাবিল নাবা গ্রুপ এই ডাল সরবরাহ করবে।
এই ক্রয়ে সরকারের খরচ হবে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
টিসিবির জন্য আরেক ক্রয় প্রস্তাবে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি লিটার ১৫২ টাকা ৯৮ পয়সা হিসাবে এতে মোট খরচ হবে ১৬৮ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে সিটি এডিবল অয়েল এই সরবরাহের কাজ পেয়েছে।
টিসিবির মাধ্যমে বিতরণের জন্য আরেক উন্মুক্ত দরপত্রে ৫০ লাখ লিটার ধানের কুঁড়ার তেল (রাইস ব্রান অয়েল) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতি লিটার ১৫২ টাকা হিসাবে এতে মোট খরচ হবে ৭৬ কোটি টাকা। মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস ও মজুমদার প্রোডাক্টস এই পণ্য সরবরাহ করবে।