“বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে তারপরও এটি অনেক বেশি, যা বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।”
Published : 06 Jun 2024, 09:17 PM
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজটে প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলের ডিসিসিআই মিলনায়তনে বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন তিনি।
এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে তুলে ধরেন সেখানে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, “এবারের বাজেটের উদ্দেশ্যে মূল্যস্ফীতি, স্থানীয় শিল্পায়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, করজাল সম্প্রসারণ ঘাটতি মেটাতে আর্থিক নির্ভরতা হ্রাস ইত্যাদি পদক্ষেপে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী। আমরা মনে করি এই কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি সময়োচিত বাজেট।”
তিনি বলেন, “বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে তারপরও এটি অনেক বেশি, যা বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।”
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কর ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আশরাফ আহমেদ বলেন, “এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তনের আহ্বান জানাই। এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানাচ্ছি।”
এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে তা প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের কম, এটাকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এছাড়া করজাল বাড়াতে হবে।
“প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের আর্থিক খাতে তারল্য সংকট দ্রুত নিরসণ করা প্রয়োজন। সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে, আবার কিছু-কিছু পণ্যের উপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্বকভাবে প্রভাবিত করবে না।”
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর শর্তসাপেক্ষে ২.৫% কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানিয়ে টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি এডিপি বাস্তবায়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন।
ব্যবসা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে: এফআইসিসিআই
বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) বলছে, নতুন প্রস্তাবিত বাজেট গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস, এবং বাজারের সরবরাহের দিকে নজর দেয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই বাজেট অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন এবং চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য রক্ষা করবে ও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করবে।”