বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, বলেন রাষ্ট্রদূত।
Published : 03 Mar 2024, 07:19 PM
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শীতলপুরের কবির শিপের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-সভেন্ডসেন।
রোববার রাষ্ট্রদূত কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শন করেন বলে কবির গ্রুপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। নরওয়ের জাহাজ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ দেশে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতে আগ্রহ বাড়ছে।
নরওয়ে বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করছে ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারেরও সহযোগিতা দরকার।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের সাবেক জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী এরিক সোলেইমি। তিনি বলেন, “এবারের আগে শেষ ২০১০ সালে এ শিল্প পরিদর্শনে এসেছিলাম। এত বছরে জাহাজ ভাঙা শিল্পে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ শিল্পের উন্নয়নে হংকং কনভেনশন বাস্তবায়ন করেছেন।”
কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, “আমরা ২০২২ সালে প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পাই। এখন মোট তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রিন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। গ্রিন ইয়ার্ড তৈরিতে দুই ধরনের খরচ হয়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং আর্থিক বিনিয়োগ। গ্রিন ইয়ার্ড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা ও দক্ষতা বাড়াতে জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি।”
তিনি জানান, এ মুহূর্তে স্থানীয় বাজারে স্ক্র্যাপের চাহিদা কম। ডলারের সংকটে জাহাজ আমদানিও কম। যে কারণে বেশির ভাগ ইয়ার্ডের উন্নতি হচ্ছে। ৭৮০ দিনে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ খাতের উন্নয়নে তিনি সরকারের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা চান।
এ সময় ঢাকার নরওয়ে দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মোরশেদ আহমেদ, কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, পরিচালক আবদুল করিম দুলাল, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, ইয়ার্ড সমন্বয়ক নেভাল ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন ও টেকনিক্যাল সমন্বয়ক পার্থ সারথী গুহ উপস্থিত ছিলেন।