সালেহ উদ্দিন বলেন, এই তিন খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ‘আগ্রহ প্রকাশ করেছে’ যুক্তরাজ্য।
Published : 27 Aug 2024, 03:01 PM
অর্থনৈতিক গতিশীলতা ফেরাতে নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও রাজস্ব খাতের সংস্কার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “আমাদের সংস্কার প্রয়োজন। যেমন ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্ব সংস্কার, ক্যাপিটাল মিডিয়া। এগুলো আমাদের জন্য ইমেডিয়েট কনসার্ন। কারণ, আমরা যদি এসব সংস্কার না করি তাহলে এটা আমাদের জন্য পরে কঠিন হবে।”
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সালেহ উদ্দিন বলেন, এই তিন খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ‘আগ্রহ প্রকাশ করেছে’ যুক্তরাজ্য। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কী ধরনের সংস্কারে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সারাহ কুক বলেন, “অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে যেটা তিনি (অর্থ উপদেষ্টা) অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এবং সহায়তা প্রয়োজন ভাবছেন, সেখানেই যুক্তরাজ্য সমর্থন করবে।”
অর্থ উপদেষ্টা আলোচনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে ‘ব্যবসার পরিবেশ, ইজ অব ডুয়িং বিজনেজ এবং ডাইভার্সিফিকেশনে’ জোর দিয়েছেন বলে জানান।
বেসরকারি খাতের বিনিয়োগও যে গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “ব্রিটেনের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করেছে।”
আরো বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “তা না হলে বেসরকারি খাত আসবে না।”
বাংলাদেশ এখন যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় বাজারে মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। রপ্তানি বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাজ্য মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কাজ করছে। আমরা এগুলোও চালিয়ে যাব।”
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার বিষয়ে এক প্রশ্নে ব্রিটিশ হাই কমিশনার বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদারত্ব রয়েছে। আমাদের খুব শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। অবশ্যই আমরা যুক্তরাজ্য থেকে আরো বেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাংলাদেশে দেখতে চাই।”
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা দায়িত্বশীল বিনিয়োগকারী। আমরা কীভাবে আমাদের বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি, সে বিষয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছি।”