আগামী ২০ ডিসেম্বর এনবিআর অনুষ্ঠান করে ১৪১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড দেবে।
Published : 06 Dec 2023, 12:05 AM
ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া আবারও দেশের সেরা করদাতা হয়েছেন; ২০২২-২৩ করবর্ষে তিনিসহ ১৪১ ব্যক্তি ও কোম্পানি সম্মাননা হিসেবে পাচ্ছে ট্যাক্স কার্ড।
হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী কাউছ মিয়া ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি কর দেওয়ায় টানা ১৫ বারের মত সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ট্যাক্স কার্ড পেতে যাওয়া এসব করদাতার নামের গেজেট সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২০২২-২৩ করবর্ষে ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬টি, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৪টি এবং অন্যান্য শ্রেণিতে ১১টি ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হবে।
আগামী ২০ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ট্যাক্স কার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানাবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।
কাউছ মিয়া টানা ১৫ বছর ধরে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
‘ব্যবসায়ীদের’ এ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে আরও সম্মাননা পাচ্ছেন গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মূর্তজা, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম, চেয়ারম্যান এস এম শাসছুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
এসব সর্বোচ্চ করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও অগ্রাধিকার পাবেন। যেমন বিমানবন্দরে সিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার; তারকা হোটেলসহ সব আবাসিক হোটেলে বুকিং; নিজে, স্ত্রী বা স্বামীর ও নির্ভরশীল সন্তানের জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন; আকাশ-রেল-নৌপথে সরকারি যানবাহনের টিকিট কাটায় অগ্রাধিকার এবং জাতীয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ।
জ্যেষ্ঠ নাগরিক
গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক খাজা তাজমহল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি. এর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা
এ মতিন চৌধুরী, ডা. মো. আমজাদ হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, মো. জয়নাল আবেদীন ও অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. আবু সালেহ মো. নাসিম।
প্রতিবন্ধী
ঢাকার আকরাম মাহমুদ, সিলেটের ডা. মো. মামুনুর রশিদ ও কুষ্টিয়ার মো. শাহজামাল।
নারী
ঢাকার উত্তরার আনোয়ারা হোসেন ও গুলশানের শাহনাজ রহমান, পাবনার নীলুফার ফেরদৌস, গুলশানের মিতুলী মাহবুব ও শ্যামলীর ডা. শায়লা আফরিন খন্দকার।
তরুণ করদাতা ৪০ বছরের নিচে
ঢাকার আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, মো. শাহরিয়ার, সারদিন রহমান অন্তু, নাসিরুদ্দিন আক্তার রশীদ ও বগুড়ার রাকেশ কুমার।
বেতনভোগী
এ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করদাতার চারজনই একই ঠিকানার বসবাসকারী। তারা হচ্ছেন- মো. ইউসুফ, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন ও লায়লা হোসেন। তাদের সবার ঠিকানা একটাই; বাসার এলাকা ঢাকা সেনানিবাস। আরেকজন হচ্ছেন ঢাকার উত্তরার এম এ হায়দার হোসেন।
চিকিৎসক
ডা. জাহাঙ্গীর কবির, এ কে এম ফজলুল হক, ডা. এন এ এম মোমেনুজ্জামান, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও ডা. লুৎফুল লতিফ চৌধুরী।
সাংবাদিক
চ্যানেল আইয়ের এমডি ফরিদুর রেজা, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর সম্পাদক মো. আব্দুল মালেক এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
আইনজীবী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, আহসানুল করিম, তৌফিকা আফতাব ও মো. তানজীবুল আলম।
প্রকৌশলী
ঢাকার মো. আতিকুর রহমান, মো. আব্দুল আউয়াল ও এএইচএম জহিরুল হক।
স্থপতি
ঢাকার মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, মো. রফিক আজম ও খান মো. মোস্তফা খালিদ।
অ্যাকাউনট্যান্ট
মো. ফারুক এফসিএ, মাশুক আহমদ এফসিএ ও স্নেহাশিষ বড়ুয়া।
নতুন করদাতা
এ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করদাতা সাত জন। তারা হচ্ছেন- রায়ান মাইকেল অট, মো. আলী নুর, মো. রফিকুল ইসলাম, জারা জেরিন জামান, শাহ আলম উদ্দীন, আনতারা জাইমা ও মো. আমিনুল হক।
খেলোয়াড়
এবারও সেরা করদাতা খেলোয়াড় হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তারপরে রয়েছেন মো. মাহমুদ উল্লাহ ও তামিম ইকবাল খান।
অভিনেতা-অভিনেত্রী
মাহফুজ আহমেদ, ফরিদা আক্তার ববিতা ও মো. সিয়াম আহমেদ।
শিল্পী (গায়ক-গায়িকা)
তাহসান রহমান খান, এস ডি রুবেল ও মমতাজ বেগম।
অন্যান্য
নাফিস সিকদার, এস এ কে একরামুজ্জামান ও মো. মনির হোসেন।
ব্যাংক খাত
ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (বাংলাদেশ শাখা) ব্রাক ব্যাংক পিএলসি, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও ইস্টার্ণ ব্যাংক পিএলসি।
ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স লিমিটেড, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেড।
টেলিযোগাযোগ
গ্রামীণফোন লিমিটেড।
প্রকৌশল
বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী লিমিটেড।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক
নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি, প্রাণ ডেইরি এবং অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ।
জ্বালানি
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন অ্যান্ড ফোরটিন লিমিটেড ও পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড।
পাট শিল্প
আকিজ জুট মিলস লি., আইয়ান জুট মিলস লিমিটেড এবং পপুলার জুট এপেক্স লিমিটেড।
স্পিনিং ও টেক্সটাইল
স্কয়ার টেক্সটাইল পিএলসি, কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাদশা টেক্সটাইলস লি:, এন জেড টেক্সটাইল লি., কামাল ইয়ার্ণ লিমিটেড এবং এ সি এস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) লি. এবং ফখরুদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লি:।
ওষুধ ও রসায়ন
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া
মিডিয়াস্টার লিমিটেড, ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া লিমিটেড, সময় মিডিয়া লিমিটেড এবং টাইমস মিডিয়া লিমিটেড।
রিয়েল এস্টেট
স্বদেশ প্রপার্টিস লি:, শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড এবং এডব্লিউআর ডেভেলমেন্টস বিডি লি:।
তৈরি পোশাক
ইয়াং ওয়ান হাইটেক স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্কয়ার ফ্যাশনস লি:, রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, তিতাস স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড, নাইস ডেনিম মিলস লি. এবং ফকির নীটওয়্যার লি:।
চামড়া শিল্প ক্যাটাগরি
বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং এলায়েন্স লেদার গুডস ফুটওয়্যার লি:।
অন্যান্য
ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, আমেরিকান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং ইডকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড।
ফার্ম
মেসার্স এস এন কর্পোরেশন, মেসার্স মো: জামিল ইকবাল, ওয়ালটন প্লাজা এবং মেসার্স ছালেহ আহাম্মদ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ্
‘ব্যক্তি সংঘ’
সেনা কল্যাণ সংস্থা হেড অফিস এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি।
অন্যান্য
ব্রাক, আশা, সামওয়ান-মীর আক্তার জয়েন্ট ভেঞ্চার এবং ব্যুরো বাংলাদেশ।
আবারও সেরা কাউছ মিয়া, এবার ‘ট্যাক্স কার্ড’ পাচ্ছে ১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান