ন্যূনতম দাম প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬০ ডলার। মানতে হবে নয় শর্ত।
Published : 10 Apr 2025, 04:46 PM
প্রায় দেড় বছর পর আবার সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার দেশের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ১৫০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা অনুযায়ী এবার ১০০ থেকে ৫০০ টন করে চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার প্রধান আমদানি–রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে চাল রপ্তানির অনুমোদন দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
সেই চিঠিতে চাল রপ্তানির পরিমাণ ও ন্যূনতম দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মানতে হবে নয় শর্ত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতি কেজির ন্যূনতম দাম হবে ১ দশমিক ৬০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯৫ টাকা।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার। এতদিন রপ্তানি বন্ধ থাকার পর সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ আবার উন্মুক্ত করল সরকার।
গত ২২ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি শুরু হয়। ২০২২ সালে এসে প্রথমবার চাল রপ্তানি বন্ধ করা হয়।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকার প্রয়োজনে যে কোনো সময় সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
অন্য যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে, এই অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তযোগ্য নয়, রপ্তানিকারক নিজে রপ্তানি না করে অন্য কাউকে রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবেন না, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা করবে, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করতে পারবে না।