২০২৪ সালের জন্য ৩০ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।
Published : 13 Dec 2023, 09:00 PM
টিসিবির জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে তিন কোটি ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার।
আরেক প্রস্তাবে ২০২৪ সালের জন্য ৩০ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তেল কেনার এসব সিদ্ধান্ত হয়। এদিন এগুলোসহ মোট ১৭টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয় বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব মাহবুব জানান, সয়াবিন তেল, রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কিনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য প্রতি লিটার ১৫৭ টাকা ২২ পয়সা দরে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। মোট ৭৮ কোটি ৬১ লাখ টাকায় বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে এ তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতি লিটার ১৫৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড ও মজুমদার ব্রান অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে।
টিসিবির জন্য সাড়ে ১২ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। অতিরিক্ত সচিব জানান, ১০৪ টাকা কেজি দরে নাবিব নাবাব ফুডস লিমিটেড থেকে এ ডাল কিনতে সরকারের খরচ হবে ১০৪ কোটি টাকা।
জ্বালানি তেল কেনা হবে ৩০ লাখ টন
এদিন ২০২৪ সালের জন্য ৩০ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১২ হাজার ২১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌদি আরব ও আবুধাবির দুটি কোম্পানি থেকে ১৫ লাখ টন জ্বালানি তেল কেনা হবে।
সাঈদ মাহবুব জানান, বিপিসি ৮ লাখ টন অপরিশোধিত তেল কিনবে সৌদি কোম্পানির কাছ থেকে। এজন্য ব্যয় হবে ছয় হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। আবুধাবির এডিএনওসি থেকে সাত লাখ টন অপরিশোধিত তেল পাঁচ হাজার ৮০৮ কোটি টাকায় কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক দরপত্রের ভিত্তিতে ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকায় ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খরচ কমলো আবাসন প্রকল্পে
প্রকল্প ব্যয় প্রায় তিন কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত ১৯৫ কোটি টাকায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের নেওয়া অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্পও এদিন অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
‘ঢাকার উত্তরার ১৮ নং সেক্টরে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ’ প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১১ সালে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) প্রকল্পটি নেয়।
অতিরিক্ত সচিব জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সভায় আগের দরের চেয়ে দুই কেটি কোটি ৯৫ লাখ টাকা কমিয়ে সংশোধিত চুক্তি মূল্য প্রস্তাব করা হয় ১৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। বৈঠকে তা অনুমোদিত হয়।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদিত এ প্রকল্পতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার সংযোজনসহ কাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয় নতুন প্রস্তাবে।
প্রকল্পটির জন্য ২১৪ দশমিক ৪৪ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। প্রতিটি ভবনে একতলা বেজমেন্টসহ ১৬ তলাবিশিষ্ট ২৪০টি ভবন নির্মাণের মাধ্যমে ২০ হাজার ১৬০টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে। এতে ২০ হাজারের বেশি ব্যক্তির আবাসন সুবিধা পাওয়া যাবে।
সার কেনা হবে ৫৫ হাজার টন
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে মরক্কো ও তিউনিশিয়া থেকে ৫৫ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে এদিন। এজন্য খরচ হবে ২৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তিউনিশিয়া থেকে কেনা সারের মূল্য ধরা হয় প্রতিটন ৩৯৬ ডলার এবং মরক্কোর সারের ক্রয়মূল্য পড়বে প্রতিটন ৪০১ ডলার।