কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া হচ্ছে, তাতে প্রতি কেজির দাম ১ হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে; তাহলে পশু বাড়তি থেকে লাভ কী– সেই প্রশ্নও রাখা হয় মন্ত্রীর সামনে।
Published : 13 Jun 2024, 06:09 PM
কোরবানির জন্য চাহিদার তুলনায় বাজারে পশু বেশি থাকার পরও চড়া দাম চাইলে ব্যবসায়ীদের ‘বিপদ’ দেখছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “আজকে হয়তো কেউ নানাভাবে হ্যান্ডেলিং করে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পার। কিন্তু দিন শেষে ওদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ গরু তো আমার যোগান আছে।
“যারা কৌশলে বা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে দাম হাঁকাচ্ছে, ওদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।”
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলছিলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, “প্রয়োজনের তুলনায় পশু সরবরাহের ব্যবস্থা বেশি আছে। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লাখ। গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ সবমিলিয়ে। সেখানে আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। অনেক পশু বাড়তি রয়েছে।”
বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেচাকেনার বরাতে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া হচ্ছে, তাতে প্রতি কেজির দাম ১ হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে পশু বাড়তি থেকে লাভ কী?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেলেন? আপনি এত ডিটেইলসে গেলেন কী পরীক্ষায়, বা কোনভাবে আপনি জানতে পারলেন?”
তখন আরেক সাংবাদিক বলেন, “লাইভ ওয়েটে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একটা গরুর প্রায় ৬০ শতাংশ বাদ যায়। সে হিসাবে যদি আপনি দাম ধরেন, কেজি ১ হাজার টাকার ওপরে চলে যায়।”
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী তখন বলেন, “বাজারে যে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরে। আমার দায়িত্ব হল প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কিনা। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২২ লাখ পশু বাড়তি আছে, উদ্বৃত্ত আছে।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমার না। দাম নির্ধারণ করবে বাজার। আমরা সাধারণত অর্থনীতির সংজ্ঞায় বুঝি সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে, সে ক্ষেত্রে বাজরই বাজারমূল্য নির্ধারণ করে। আমি কীভাবে বাজার মূল্য নির্ধারণ করব।”
ডিমের দামের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন তাদের (খামারি) সঙ্গে বসি, তারা একটা অজুহাত দেয় খাদ্যশস্যের দাম বেশি। আমদানি করতে হয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা বৈঠক করব। তাদের এই অজুহাত কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না।
“প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসে তাদের একটা ডিমের জন্য কত খরচ হয় এবং লাভ কত করতে হয়, তারপর দাম নির্ধারণ করব। এই ব্যাপারে নিশ্চয় আমাদের নজরদারি থাকবে।”