অন্যের স্ত্রী সেজে পেনশনের অর্থ আত্মসাৎ, এক নারীর ৭ বছরের জেল

ভুয়া কাবিননামা দিয়ে মৃত ব্যক্তির বিধবা স্ত্রী দাবি করে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন শেফালী বেগম।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2022, 12:58 PM
Updated : 3 Oct 2022, 12:58 PM

ভুয়া কাবিননামা দিয়ে অন্যের স্ত্রী সেজে পেনশনের টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় শেফালী বেগম নামের এক নারীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন বলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের রায়ে জানা গেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমান ১৯৮৬ সালে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার স্ত্রী আগে মারা যাওয়ায় এবং ছেলে-মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক থাকায় মৃত্যুর পর পেনশন বিধি অনুযায়ী তার পেনশন কার্যক্রম শেষ হয়।

কিন্তু হামিদুর রহমানের মৃত্যুর ৮ বছর পর ২০০৭ সালের ২৮ মে আসামি শেফালী বেগম প্রয়াত হামিদুর রহমানের বিধবা স্ত্রী সেজে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের সমর্থনে তিনি হামিদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ের দুটি ভুয়া কাবিননামা ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দাখিল করেন।

এরপর তিনি হামিদুর রহমানের ভুয়া স্ত্রী সেজে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পেনশন বাবদ ৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন।

ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও মিথ্যা কাবিননামা দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় আসামির বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা আক্তার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ৮ মে তদন্ত কর্মকর্তা সোহানা আক্তার আসামি শেফালী বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি অভিযাগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয় এবং সোমবার রায় ঘোষণা হয়েছে।