১৯৮৯ সালে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে এই মেয়েকে আনতে গিয়েই গুলিতে নিহত হন সগিরা মোর্শেদ।
Published : 08 Nov 2022, 02:42 PM
তিন দশক আগের সগিরা মোর্শেদের হত্যা মামলায় তার মেয়ের সাক্ষ্যগ্রহণ আটকাতে আসামিপক্ষের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
সগিরা মোর্শেদের মেয়ের নাম সামিয়া সারওয়াত চৌধুরী। ১৯৮৯ সালে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে তাকে আনতে গিয়েই গুলিতে নিহত হন সগিরা মোর্শেদ। সামিয়ার বয়স তখন ছিল ৫ বছর।
মামলার সাক্ষী হিসাবে তার নাম তালিকায় দিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। তার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিপক্ষ বিচারিক আদালতে আপত্তি তোলে। সেখানে সাক্ষ্য আটকাতে ব্যর্থ হয়ে তারা হাই কোর্টে আসেন। এবার হাই কোর্টও সেই আবেদন খারিজ করে দিল।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
পরে খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব।”
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দু’জনের কথা বললেও মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনও হয়।
এরপর হাই কোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। পরে হাই কোর্ট ৬০ দিনের মধ্যে মামলার অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।
এরপর তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
এখন এ মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭১), জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৫), শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৬০), মো. মন্টু, ও মারুফ রেজা (৬০)।
এরপর বিচারিক আদালতে নতুন করে অভিযোগ গঠন হয় এবং মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: রিকশাচালককে জেরা