সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

তিন দশক আগের ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2021, 05:12 PM
Updated : 16 August 2021, 05:12 PM

সোমবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলাটির প্রথম তারিখ ধার্য ছিল।

এদিন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর হাসান আলী চৌধুরী এবং জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

বিচারক ৫০০ টাকা মুচলেকায় দুই আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ নিতে গেজেট প্রকাশ করে।

মামলার আসামিরা হলেন-সগিরা মোর্শেদের ভাসুর হাসান আলী চৌধুরী (৭১), জা সায়েদাতুল মাহমুদা (৬৫), মো. মন্টু, আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৬০) ও মারুফ রেজা (৬০)। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ ও মারুফ রেজা কারাগারে আছেন। বাকি তিনজন জামিনে রয়েছেন।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছিল জজ আদালতে। এরপর মামলার বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি।

সগিরা মোর্শেদ

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সালাম চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দু’জনের কথা বললেও মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনও হয়েছিল।

এরপর হাই কোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। পরে হাই কোর্ট মামলার অধিকতর তদন্ত ৬০ দিনের মধ্যে করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

২০১৯ সালের ১৭ অগাস্ট এ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।