নিয়োগ জালিয়াতি: খাদ্যের ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক

সাত বছর আগে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেছিল দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2022, 03:53 AM
Updated : 7 Oct 2022, 03:53 AM

খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ জালিয়াতির মামলায় খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক তিন কর্মকর্তা ও ৪৩ খাদ্য পরিদর্শকসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্প্রতি কমিশনের এক সভায় এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, শিগগিরই এ অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের ওই নিয়োগ বাছাই কমিটির সভাপতি ও পরিচালক ইলাহী দাদ খান, সদস্য সচিব ও তৎকালীন উপ-পরিচালক ইফতেখার আহমেদ (বর্তমানে উপ-সচিব), খাদ্য বিভাগের সাবেক উপ-সচিব (প্রশাসন) নাসিমা বেগমকে (বর্তমানে যুগ্ম সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়) অভিযোগপত্রে আসামি করা হচ্ছে।

এছাড়া আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানার্স অ্যান্ড কনসালটেন্টের চার কর্মকর্তার নাম থাকছে আসামির তালিকায়। তারা হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আইউব আলী, সাবেক টেকনিক্যাল ম্যানেজার আসাদুর রহমান, সাবেক হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফ হোসেন ও সহকারী ডাটাবেজ অ্যাডমিন মো. আবুল কাসেম।

এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৪৩ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে, তারা খাদ্য অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয়ে নিয়োজিত রয়েছেন।

খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় ৫৩ জনের নামে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক। কয়েকজন কর্মকর্তার হাত বদলে মামলাটির তদন্তভার উপ-পরিচালক আলী আকবরের ওপর বর্তায়।

তদন্ত শেষে সম্প্রতি তিনি প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালতে অভিযোগপত্র জমার অনুমোদন দেয় কমিশন।

মামলার এজাহারে ৫৩ আসামির নাম থাকলেও অভিযোগপত্রে তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০১০ সালে খাদ্য পরিদর্শক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। তাতে পৌনে চার লাখ আবেদন জমা পড়ে। পরের বছর ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২৩০ জন।

এরপর ২০১৩ সালে মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত ফলাফলে ৩২৮ জনকে খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে অনুসন্ধান শেষে মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘পরস্পরের যোগসাজশে জালিয়াতি করে এবং গোপন আঁতাতের মাধ্যমে’ ৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।