‘সড়কটি হোক হুমায়ুন আজাদের নামে’

যেখানে হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা হয়, সেই জায়গাটি সংরক্ষণ এবং বাংলা একাডেমি থেকে হুমায়ুন আজাদের নামে একটি পুরস্কার প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2024, 04:09 PM
Updated : 27 Feb 2024, 04:09 PM

বাংলা একাডেমির সামনের সড়কটি লেখক হুমায়ুন আজাদের নামে করার দাবি জানিয়েছেন তার মেয়ে মৌলি আজাদ।

মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রের সামনে হুমায়ুন আজাদ দিবসের আলোচনায় এ দাবি তোলেন তিনি।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে লেখক হুমায়ুন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ওই বছর অগাস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

তাকে স্মরণ করে প্রতিবছরই দিনটিকে ‘হুমায়ুন আজাদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে লেখক-প্রকাশক পাঠক ফোরাম।

মঙ্গলবার বইমেলার তথ্যকেন্দ্রের মাইক থেকেও হুমায়ুন আজাদ দিবসের ঘোষণা আসে।

আলোচনায় বক্তারা, একুশে বইমেলা যেন প্রকৃত সৃজনশীল লেখক-প্রকাশকদের মেলা হয়, তারা সেই আহ্বানও জানান।

এছাড়া যেখানে হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা হয়, সেই জায়গাটি সংরক্ষণ এবং বাংলা একাডেমি থেকে হুমায়ুন আজাদের নামে একটি পুরস্কার প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।

মৌলি আজাদ বলেন, “আমার বাবা বাংলা একাডেমি থেকে বাসায় ফেরার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমি চাইব বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তাটির নামকরণ যেন করা হয় ‘হুমায়ুন আজাদ সড়ক’। যে কর্তৃপক্ষই এর দায়িত্বে আছেন, আমি সেই কর্তৃপক্ষের কাছে বলব, তারা যেন এটি করেন। তাহলে পরের প্রজন্ম এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মনে করবেন।”

এ সময় বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি মোহন রায়হান, আসলাম সানী, বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “হুমায়ুন আজাদের যে প্রতিবাদী স্বত্তা, তার মতো এমন প্রতিবাদী কমই আছেন। হুমায়ুন আজাদ তার রক্ত দিয়েই এক নান্দনিক বাংলাদেশের কথা বলে গেছেন।”

বাংলা একাডেমি থেকে পুরস্কার প্রবর্তনের বিষয়টি নির্বাহী পরিষদের সভায় তুলবেন বলেও জানান তিনি।

প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, “হুমায়ুন আজাদ সাহসের সঙ্গে সত্য বলতেন। আমাদেরকে ইতিহাসকে নিয়েই পথ চলতে হবে। এই বইমেলা যেন সৃজনশীল প্রকাশকদের বইমেলা হয়। এটাই এবারের হুমায়ুন আজাদ দিবসের ডাক।”