সামরিক বাহিনীর ১,১২৯ জন সদস্যকে নেবে কাতার

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2023, 02:02 PM
Updated : 27 Feb 2023, 02:02 PM

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ১,১২৯ জন সদস্যকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য কাতারে পাঠাতে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই খসড়া অনুমোদন করা হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই চুক্তি হবে। তারই খসড়া অনুমোদনের জন্য এদিন মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছিল।

“বাংলাদেশ এবং কুয়েতের মধ্যে এরকম একটি চুক্তি রয়েছে, যার আওতায় প্রায় ৫ হাজার সেনা সদস্য সেখানে কাজ করেন। একইভাবে কাতারের সঙ্গেও আমাদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

“এর আওতায় আর্মড ফোর্সেসের ১,১২৯ জন সদস্য লিয়েনে বা ডেপুটেশেনে সেখানে কাজ করবেন। চুক্তির মেয়াদ হবে সাধারণভাবে পাঁচ বছর, তবে এটা অটোমেটিক্যালি রিনিউ হয়ে যাবে। এখানে আর্মড ফোর্সেস বলতে তিন বাহিনীর লোকজনই থাকবেন।”

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-৪১ এর খসড়াও এদিন অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “একটি সম্মিলিত পরিকল্পনা ছিল, যেটার নাম ছিল মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা ২০২২-৪১, ঠিক এক বছর আগে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিছু অবজার্ভেশন দেওয়া হয়েছিল। ক্লাইমেট ইস্যুটা যাতে সব সময় দৃষ্টিতে থাকে, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেন জলবায়ুর বিষয়টা থাকে, জলবায়ুর ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় সেগুলো যেন বিশেষ অগ্রাধিকার পায়, সেটা নিশ্চত করার জন্য আজ এটা চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অভিযোজন যাতে তরান্বিত করা যায়, ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য যাতে অর্থ ব্যয় বাড়ানো যায়, সেজন্য রাজস্ব আহরণের কথা বলা হয়েছে এ পরিকল্পনায়।

“সমন্বিত জলবায়ু অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে এখানে। মানব কল্যাণ নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে। বিপন্ন থেকে আমরা সহিষ্ণুতার দিকে যাব, সেখান থেকে উন্নয়নের দিকে যাব।”

মাহবুব হোসেন জানান, প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার লাগবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।

“বলা হচ্ছে, এটা যদি আমরা ৪১ সাল নাগাদ করতে পারি, তাহলে আমরা প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার মূল জিডিপিতে যোগ করতে পারব। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যে জিডিপি হ্রাসের কথা বলা হয়, সেটা রোধ হবে।

“আর এর জন্য আলাদা কোনো বাজেট হবে না, মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব বাজেট থেকে এটা বাস্তবায়ন করবে। উন্নয়নের যে রূপরেখা করেছি, সেটা যেন টেকসই হয়, তার জন্য এটা করা হয়েছে।”