Published : 05 May 2025, 12:10 PM
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গঠিত স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এই কমিশনের সদস্যরা সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় জানানো হয়।
এর মধ্য দিয়ে দুই ধাপে গঠিত ১১ সংস্কার কমিশনের সবগুলো প্রতিবেদন সরকারপ্রধানের দপ্তরে জমা পড়ল।
ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনে সদস্য ছিলেন মোট ১১ জন।
তারা হলেন– বাংলদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন; পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী; গাইনোকলজিস্ট ডা. সায়েবা আক্তার; শিশু স্নায়ুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ডা. নায়লা জামান খান; সাবেক সচিব এম এম রেজা; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) ডা. মোজাহেরুল হক; আইসিডিডিআর, বির গবেষক ডা. আজহারুল ইসলাম; স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন; গ্রিন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের ডা. সৈয়দ আতিকুল হক; আইসিডিডিআর, বির শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের উমায়ের আফিফ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয় সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের লক্ষ্যে।
প্রথম ধাপের কমিশনগুলোর প্রতিবেদন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ সংস্কার ছাড়া বাকি সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
দ্বিতীয় ধাপে গত ১৮ নভেম্বর আরো পাঁচটি কমিশন গঠিত হয়। এ ধাপের স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা পড়ল।