গত শুক্রবার জামিন পেয়েছিলেন এই পাঁচ কর্মকর্তা।
Published : 27 Feb 2024, 06:34 PM
জামিনের শর্ত অনুযায়ী পাসপোর্ট আদালতে জমা না দেয়ায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হকের দায়ের করা মামলায় পাঁচ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করা হয়েছে।
গত রোববার ঢাকার একজন মহানগর হাকিম এক আদেশে তাদের জামিন বাতিল করেন বলে মঙ্গলবার আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এই পাঁচজন হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভুইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক ও কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।
অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগে শাযরেহ হকের করা তিন মামলায় গত বৃহস্পতিবার ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পরদিন শুক্রবার পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন নাকচ করে ঢাকার মহনগর হাকিম শান্তা ইসলাম তাদের জামিন দেন।
আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এ কথা সেদিন আদেশে আমরা পাইনি । পরে আদেশ অংশে আমরা দেখতে পেলাম যে, পাসপোট জমার কথাগুলো পরে যুক্ত করা হয়েছে।
“২৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় গেলাম পাসপোর্ট জমা দিতে। তখন বিচারক সেটি গ্রহণ করলেন না। বললেন, ‘এখন আর নেব না, আগে দিলেন না কেন?’ অথচ বিকাল ৫টা পর্যন্ত আদালত চলাকালীন যেকোনো সময়ে সেটি দাখিল করার নিয়ম রয়েছে। আমরা অন্যায্য বিচারের শিকার।”
তিনি বলেন, “আমাদের একজন মক্কেল হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। কাগজপত্র নিম্ন আদালতে এলে নিশ্চিতভাবে বলতে পারব।”
ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক গত বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় এই তিন মামলা দায়ের করেন। গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয় সেসব মামলায়।
শাযরেহ হক তার বোন সিমিন রহমান, মা শাহনাজ রহমান এবং সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনকেও আসামি করেছেন।
লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান এখন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার বড় মেয়ে সিমিন রহমান গ্রুপের সিইও। আর নাতি যারাইফ আয়াত হোসেন ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন। ছোট মেয়ে শাযরেহ হকও ট্রান্সকম গ্রুপের একজন পরিচালক।
মামলা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিদের জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
পরে বিচারক পৃথক পৃথক আদেশে পাঁচজনকে জামিন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: