সামন্ত লাল বলেন, “দগ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা একটা কথা সবসময় বলি, বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত তাদেরকে শংকামুক্ত বলা যাবে না।“
Published : 02 Apr 2024, 03:33 PM
ঢাকার সাভারে তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধদের কেউ ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,” দগ্ধদের কেউ শঙ্কামুক্ত নয়। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমরা একটা কথা সবসময় বলি, বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত এসব রোগীকে শংকামুক্ত বলা যাবেও না।“
মঙ্গলবার ভোরে সাভারে তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন লাগলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়; তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আটজনকে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পথে মো. নজরুল ইসলাম নামে একজন মারা যান। ময়মনসিংহের ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল।
হাসপাতালে এখন ভর্তি রয়েছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের মিলন (২২), বরগুনার মিম (১০), আল আমিন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫), সাকিব (২৪), হেলাল (২১) ও রাজশাহীর আবদুস সালাম (৩৫);
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “গুরুতরদের মধ্যে সাকিব ও হেলালের শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে। একজনের ৪৫ শতাংশ ও আরেকজনের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।এটাও গুরুতর।“
তেলের ট্যাংকারে আগুন: হাসপাতালে ভর্তি ৪ জনের অবস্থা গুরুতর
হেমায়েতপুরে জোরপুল এলাকায় ভোরে তেলবাহী একটি ট্যাংকার উল্টে আগুন লেগে আরো দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কার পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, জোরপুল এলাকায় সড়ক বিভাগের ডিভাইডার নির্মাণ কাজ চলায় পাথর দিয়ে ইউ টার্ন তৈরি করা হয়েছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার গাবতলী থেকে সাভার যাওয়ার সময় ইউ টার্নের পাথরে লেগে উল্টে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পেছনে আটকে থাকা কয়েকটি গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এর মধ্যেই তেলবাহী ট্যাংকারটি ছাড়াও দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কার ভস্মীভূত হয়।