ফল মানব কি-না পরের হিসাব, ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকব মাঠে: হিরো আলম

হিরো আলম বগুড়ার ভোটার হওয়ায় এ আসনে ভোট দিতে পারছেন না।

ভোটের সকালে বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের মারধর বের করে দেওয়ায় অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

সোমবার সকালে বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়ে একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, “যখনই বলতেছে একতারার লোক, হিরো আলমের লোক, তখনই কিন্তু বের করে দিতেছে।

“তাহলে এই রকম করে এজেন্ট বের করে দেওয়ার মানে হইল, তারা একতরফা তাদের এজেন্ট দিয়ে সিল মারার চেষ্টা করতেছে।”

সোমবার সকাল ৮টায় এ আসনের ১২৪টি কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়েছে। সোয়া তিন লাখ ভোটারের এ আসনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

ঢাকা থেকে প্রার্থী হলেও হিরো আলম বগুড়ার ভোটার। ফলে নিজের মার্কায় তিনি নিজে ভোট দিতে পারছেন না। তবে সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পরিস্থিতি দেখছেন।

‘জোর করে সিল মারা’ আর ‘অত্যাচার’ যাই হোক, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে হিরো আলম বলেন, “ফলাফল মেনে নেব কি-না, সেটা পরের হিসাব। কিন্তু ভোটের লাস্ট সময় পর্যন্ত থাকব মাঠে।”

“কারণ, আমরা দেখতে চাই, তারা কতটা আমার উপর অত্যাচার করে, কতটা আমার এজেন্টদের বের করে দেয়। যদি জোর করে সিল মারে, দেশের জনগণ দেখবে, আপনারাও দেখবেন আমার উপর কত অন্যায়-অত্যাচার করে তা দেখা পর্যন্ত থাকব,” নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেন তিনি।

হিরো আলমের পাশে থাকা তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. ইলিয়াস বলেন, ১২৪ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টিতে সবগুলো বুথের জন্য ৬২৪ এজেন্ট ঠিক করেছেন তারা। ১২টি কেন্দ্রে এজেন্টদের ‘মারধর করে’ বের করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, “১০টার আগেই ১২টা কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয় নাই, সারাদিন কী ঘটবে আমি জানি না। এখন অনেক জায়গায় বের করে দিতেছে।

“আমরা জায়গাগুলোতে যাব, কেন তাদেরকে বের করে দেওয়া হইতেছে। এই রকম হলে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে না। ভোটারদের মধ্যে ভয় থাকতে পারে। কারণ, যে জায়গায় এজেন্টদের বের করে দেওয়া হইতেছে, সে জায়গায় তারা একতরফা নির্বাচনের চিন্তাভাবনা করেছে মনে হয়।”

এজেন্টদের কারা বের করে দিচ্ছে, এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, “আওয়ামী লীগের লোকজনেরা বের করে দিতেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া কে বের করে দিতে পারে আপনাদের এখানে, আর কারও ক্ষমতা আছে? আরও আটজন আছে কেউতো বের করে দিতেছে না!”

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বনানী থানায় ফোন করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ করেন একতারা প্রতীকের প্রার্থী।

ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, গুলশান এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলেও বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই নেই। সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন সাড়াও চোখে পড়েনি।

হিরো আলম ছাড়াও এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন সাতজন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন (ডাব) এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন (ছড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞা (ট্রাক)।