এসবি সদস্যদের কেউ হয়রানি করলে অভিযোগও করা যাবে এই অ্যাপে।
Published : 16 Nov 2022, 07:47 PM
পাসপোর্ট সেবা সহায়তাসহ বিদেশে গমন ও এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য জানতে এবং এসব সেবা গ্রহণে হয়রানির শিকার হলে অভিযোগ জানাতে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকার মালিবাগে এসবির সদর দপ্তরে ‘হ্যালো এসবি’ অ্যাপটি উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় এসবির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্য কিংবা অন্য কোনো সংস্থার সদস্যের দুর্ব্যবহার অথবা অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে থাকলে তা এই অ্যাপের মাধ্যমে জানানো যাবে।
পুলিশ সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘হ্যালো এসবি’ অ্যাপের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন বা সংশোধন, ইমিগ্রেশন সেবা, দ্বৈত নাগরিকত্ব, ভিসা নবায়ন, নিবন্ধন, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স, এনজিও সংক্রান্ত তথ্য, দত্তক, ভ্রমণ ইত্যাদি সেবা সহজে পাওয়া যাবে। এ সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহীতারা অ্যাপটির মাধ্যমে অভিযোগ ও পরামর্শ বা তথ্য জানাতে পারবেন।
পাশাপাশি বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর দিয়ে যাতায়াতকালে দেশি-বিদেশি কোনো যাত্রী ইমিগ্রেশন অফিসারের দুর্ব্যবহার বা হয়রানির শিকার হলে এ অ্যাপের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ‘প্লে স্টোর’ থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রধান বলেন, “জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার ক্ষেত্রে ‘হ্যালো এসবি অ্যাপ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে এটি এক চমৎকার উদ্যোগ। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অনন্য সংযোজন এটি।”
এসবির সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, এসবি সবচেয়ে পুরনো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এসবি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ধর্মীয় উৎসব পালনসহ যেকোন ইস্যুতে আগাম গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এসবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বর্তমান সরকার আমলে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে বাংলাদেশ পুলিশের প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে, পেশাদারিত্ব বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুধু পুলিশেরই নয়, দেশের সর্বক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।”