কারাদণ্ডের পাশাপাশি কাদের খানকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Published : 04 Apr 2024, 04:30 PM
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের খানকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি কাদের খানকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা আদায় করে রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে।
তবে, সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই অভিযোগ থেকে কাদের খানকে খালাস দেওয়া হয়েছে রায়ে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দুদকের আইনজীবী রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলাটিতে সম্পদের তথ্য গোপনের অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি, কিন্তু জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধ প্রমনিত হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।”
রায় ঘোষণার আগে কাদের খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন কাদের খান। তার আগে অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে বগুড়া শহরের বাসায় ছয় দিন নজরবন্দি করে রাখে পুলিশ।
এর কয়েকদিন পর কাদের খানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬ মে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
সেখানে বলা হয়, দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে আবদুল কাদের খান ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকা গোপন করেছেন।
তদন্ত শেষে গত বছরের ১০ জানুয়ারি সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম।