বঙ্গবাজারের বহুতল মার্কেট নির্মাণ শুরু ঈদের পর: মেয়র তাপস

২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল রোজার মধ্যে বঙ্গবাজার আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এনেক্সকো টাওয়ার, ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটও।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 12:59 PM
Updated : 13 March 2024, 12:59 PM

রোজার ঈদের পর পুরান ঢাকার পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

দরপত্র কার্যক্রম প্রায় শেষ জানিয়ে তিনি বলেন, “সেখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা আবারও তাদেরকে সেখানে উঠিয়ে দিতে পারব। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।”

বুধবার সেগুনবাগিচায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র সব কথা বলেন। জানান, এখন যেভাবে ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে, ঈদ পর্যন্ত সেভাবেই চলবে।

২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল রোজার মধ্যে বঙ্গবাজার আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এনেক্সকো টাওয়ার, ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটও।

ঈদের আগে ব্যবসা হারিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়া মানুষগুলো এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে ছাতা বসিয়ে কাপড় বিক্রি করছে। তবে বেচাকেনা আগের মত না থাকায় তাদের হতাশা কমেনি।

সেই আগুনের পরেই বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় সিটি করপোরেশন। প্রস্তুতি নিতে নিতে এক বছর সময় ব্যয় হয়েছে।

মেয়র তাপস বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ডিএসসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বঙ্গবাজারে নতুন ভবন নির্মাণ হবে।” 

বুধবার সেগুনবাগিচায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের পাশে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই নয়, সকল ক্ষেত্রেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কী প্রয়োজন, কী চাহিদা তিনি সেগুলো বিবেচনা করেন।

“করোনা মহামারী ও যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ে যখন নাভিশ্বাস, তখন তিনি সারা বাংলাদেশে এক কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে তিনি ন্যায্যমূল্যে সাধারণ মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে চলেছেন।”

অনুষ্ঠানে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের ৫শ মানুষের কাছে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৮ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি চিনিসহ মোট ৯ ধরনের খাদ্য রয়েছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহম্মদ রতন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।