ভারত-বাংলাদেশের অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ থাকবে এই প্রমোদতরীর পর্যটকদের সামনে।
Published : 11 Jan 2023, 10:49 PM
উদ্বোধনী যাত্রার জন্য প্রস্তুত ‘গঙ্গা বিলাস’; ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে নদী পথে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘযাত্রার এই প্রমোদতরী।
শুক্রবার যাত্রার সূচনা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী; এরপর মোট ৫১ দিন পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদী ঘুরে আসামের ডিব্রুগড়ে পৌঁছবে।
যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ স্থান, যা ঘুরে দেখার সুযোগ থাকবে পর্যটকদের সামনে।
প্রটোকল রুট ধরে এই নৌযান চলাচলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। সেদেশের সরকারের উদ্যোগে এটি চালু হলেও পরিচালনার দায়িত্বে আছে ‘অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুজেস’।
এতে জন প্রতি একদিনের টিকেটের দাম পড়বে ২৪ হাজার ৬৯২ রুপি; যাত্রাপথের মোট ৫১ দিনের ভাড়া ১২ লাখ ৫৯ হাজার রুপি। তবে আলাদা আলাদা প্যাকেজেও পর্যটকরা এই তরীতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।
গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধন সামনে রেখে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে বলেছেন, “এটা আমাদের সাংস্কৃতিক শেকড়কে সংযুক্ত করার এবং ভারতের বৈচিত্র্যকে আবিষ্কারের বিরল সুযোগ।”
A trail through India's ancient heritage on some of the mightiest rivers of the world. #GangaVilas, the world's longest river cruise will be flagged-off by Hon'ble PM Shri @narendramodi ji on Jan 13. Join this majestic journey. pic.twitter.com/KMGuNeE277
— Sarbananda Sonowal (@sarbanandsonwal) January 10, 2023
আর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ২৭টি নদ-নদীতে চলবে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী’ গঙ্গা বিলাস। ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল নৌপথে এটি ৫০ দিনেরও বেশি সময়ে বারানসি থেকে ডিব্রুগড় পাড়ি দেবে।
দীর্ঘ যাত্রাপথে সুন্দরবন, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান ছুঁয়ে যাবে প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বারানসী থেকে যাত্রা শুরু করে বক্সার, রামনগর, গাজীপুর পেরিয়ে অষ্টম দিনে পাটনা পৌঁছবে ‘গঙ্গা বিলাস’। সেখান থেকে ফারাক্কা, মুর্শিদাবাদ হয়ে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে আরও দুদিন।
“কলকাতা থেকে এরপর ওপার বাংলার উদ্দেশে পাড়ি দেবে ‘গঙ্গা বিলাস’। বাংলাদেশের নদীতে এই প্রমোদতরী ঘুরে বেড়াবে আরও ১৫ দিনের জন্য। এরপর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করবে; যাত্রা শেষ হবে ডিব্রুগড়ে।
বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে মোট ৮০ জন যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে গানবাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন। সেই সঙ্গে থাকছে শরীরচর্চা আর রূপচর্চার কেন্দ্রও।
বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়, “এটি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার আরেকটি ইতিবাচক অধ্যায়। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্রমশ পূর্ব দিকে উন্নততর হচ্ছে।”