ঢাকা, অগাস্ট ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যুদ্ধাপরাধের বিচারের পথ উন্মুক্তকারী সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদেশের পর অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আবেদনটি না চালানোর প্রার্থনা জানান। তার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রিট আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে।"
গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা গত ১৬ অগাস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনটিতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবি জানানো হয়।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব ও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে প্রতিপক্ষ করা হয়।
এতে বলা হয়, "সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৭ ও ৪৭(ক) এর ৩ অনুচ্ছেদের সংযোজন করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ দুটিতে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সশস্ত্র বাহিনী, সহায়ক বাহিনী বা যুদ্ধবন্দিকে দণ্ড দেওয়ার কোনো আইন সংবিধানের সঙ্গে অসামাঞ্জস্য হলেও বাতিল হবে না বলে বিবৃত আছে।"
এসব অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার প্রযোজ্য হবে না বলেও অনুচ্ছেদ দুটিতে বলা হয়।
আবেদনে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩ (১) ধারায় বিচারের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার থাকবে না বলা হয়েছে।
জামায়াত নেতারা বলছেন, ৬ (১) ধারায় হাইকোর্টের বিচারপতিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নিয়োগের যে বিধান করা হয়েছে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ওই আইনে ৬ (৩) ধারায় ট্রাইব্যুনাল গঠনের আদেশ, কার্যক্রম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন করা যাবে না বলা হয়েছে। এই বিধান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক ক্ষমতাকে খর্ব করেছে বলেও তারা মনে করেন।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯ ধারায় সাক্ষ্য হিসেবে সাময়িকী, বই, পত্রিকা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য আইনে তা গ্রহণযাগ্য নয়। এছাড়া ২০ (২) ধারায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হলেও কোন কোন অপরাধে মৃতুদণ্ড দেওয়া হবে তা বলা হয়নি।"
আইনের ২৩ ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে না বলা হয়েছে। এ ধারাটিও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ তাদের।
একাত্তরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মামলায় গত ২ অগাস্ট জামায়াতে ইসলামীর মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাকে পুরানো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ওই দিন দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকেও আদালতে হাজির করা হয়।
সেদিন আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদেরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার রাখার আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, কামারুজ্জামান ও কাদেরকে স