জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট, ফটো ও ভিডিও সাংবাদিকদের জমা দেওয়া প্রায় এক হাজার প্রতিবেদন থেকে একটি স্বাধীন বিচারক প্যানেল বিজয়ী প্রতিবেদনগুলো নির্বাচন করেছেন।
Published : 22 Apr 2024, 08:45 PM
শিশু অধিকার নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য অষ্টাদশ ‘ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ পেয়েছেন ১৫ সাংবাদিক।
সংস্থাটি ২০০৫ সাল থেকে ‘শিশু অধিকার বিষয়ক’ প্রতিবেদনের উৎকর্ষের স্বীকৃতি দিতে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
সোমবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট, ফটো ও ভিডিও সাংবাদিকদের জমা দেওয়া প্রায় এক হাজার প্রতিবেদন থেকে একটি স্বাধীন বিচারক প্যানেল বিজয়ী প্রতিবেদনগুলো নির্বাচন করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পরিস্থিতি, ঋতুস্রাবকালীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার ক্ষেত্রে কন্যাশিশুদের চ্যালেঞ্জ ছাড়াও পথশিশু ও প্রান্তিক শিশুদের গল্প উঠে এসেছে এসব প্রতিবেদনে।
ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ এর বিজয়ীরা হলেন (১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব) প্রিন্ট সাংবাদিকতায় প্রথম আলোর আহমদুল হাসান, ঢাকা নোটের রবিউল আলম, ঢাকা পোস্টের রাকিবুল হাসান তামিম, মুছা মল্লিক, জসীম উদ্দীন ও নজরুল ইসলাম, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের সাধন কুমার সরকার, সিভয়েস ২৪ ডটকমের শারমিন রিমা এবং বাংলা ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম।
ভিডিও প্রতিবেদনে যৌথভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের বনি আমিন এবং ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সবুজ মাহমুদ। ফটো সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর মো. সাজিদ হোসেন।
এছাড়াও ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু সাংবাদিকদেরও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের এই অংশটি সঞ্চালন করে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের দুই শিশু সংবাদিক ইফতেশাম ইসলাম ও আনিকা আকরাম অর্পি।
প্রিন্ট (অনূর্ধ-১৮) ক্যাটাগরিতে ইকোনোমিক নিউজ ২৪ ডটকমের নাঈম ইসলাম, ভিডিও ক্যাটাগরিতে এটিএন বাংলার মুজাহিদ ইসলাম এবং ফটো সাংবাদিকতায় দৈনিক আজকের সুন্দরবনের সাফায়েত হোসেন শান্ত পুরষ্কৃত হয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “কাজগুলো শিশুদের জীবনে কী প্রয়োজন কেবল তাই তুলে ধরেনি, তাদের জীবন আরও সুন্দর করতে কী কী করণীয় সেদিকেও আলোকপাত করেছে।
“আজকে আমরা শিশুদের কথাগুলো শোনার, তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দেওয়ার এবং তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করার যে অঙ্গীকার, তা পুনর্ব্যক্ত করছি।”
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো শিশু অধিকার নিশ্চিতে নীতি নির্ধারকের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে চলেছেন। শিশুরা শিশুশ্রমে যুক্ত না হয়ে যেন স্কুলে যেতে পারে এজন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের প্রয়োজনগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
এবার ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসের বিচারক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, রয়টার্স বাংলাদেশের সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির, রয়টার্স বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ রুমা পাল, রয়টার্স বাংলাদেশের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট রফিকুর রহমান, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার আলোকচিত্রী ও প্রশিক্ষক আবির আবদুল্লাহ এবং আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া।