রোজায় কোনোভাবেই যাতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। আর মজুদদারি ঠেকাতে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে।
এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আর ইফতার, সেহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে।
রোজাকে সামনে রেখে মঙ্গলবার এক পর্যালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এসব নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভায় তিনি সরকারপ্রধানের বিশেষ নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন। আর নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, বৈঠকে সহজে টিকেটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্ট ও পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুদ আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে।
“রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারো কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।”
মুখ্য সচিব বলেন, “রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ-শৃঙ্খল যাতে ঠিক থাকে- সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে।
“ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমরা দু’বার করে এককোটি মানুষকে দেব।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, রেল সচিব হুমায়ুন কবীর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মাহবুব হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেরে সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান, সেতু সচিব মনজুর হোসেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ, খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, নৌসচিব মোস্তফা কামাল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।