আগেরবারের চেয়ে পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় দুই লাখ।
Published : 06 Nov 2022, 01:44 AM
কোভিড মহামারী ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অবশেষে বসতে যাচ্ছেন ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দেশের ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
প্রথম দিন নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র, মাদ্রারা শিক্ষা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসএসসির পর এবার এইচএসসিতেও পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা এবং বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবার ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে, যাদের ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং বাকি ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ ছাত্রী।
গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে অংশ নেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থী। তার মানে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় দুই লাখ।
এইচএসসি: ডেঙ্গু আক্রান্তদের পরীক্ষা আলাদা ব্যবস্থায়, লোডশেডিং বন্ধে চিঠি
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ছয়টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র বাতিল করতে হয়েছে। এর দেড় মাস পর শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নের নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এ পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সরাসরি তদারকি করতে বলা হয়েছে।
দেশজুড়ে উদ্বেগজনকভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণের বিস্তার ঘটায় পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্র এবং এর আশেপাশে মশার ওষুধ ছিটানো এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া পরীক্ষা চলাকালে লোড শেডিং যেন না হয়, সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৪ হাজার ৬৪৭টি প্রতিষ্ঠানের ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন পরীক্ষার্থী বসবেন ১ হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে।
তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ জন, মানবিক বিভাগে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭১ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৬ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৪৪৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন ২ হাজার ৬৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থী। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৬৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন ১ হাজার ৮৫৬টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১ শিক্ষার্থী।
দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্রে ২২২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
গত বছরের মত এবারও বিষয়, নম্বর ও সময় কমিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য থাকবে ২০ মিনিট, সৃজনশীল বা রচনামূলকের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
এবার পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি ও গ্রুপভিত্তিক নৈর্বচনিক তিনটি বিষয় এবং একটি ঐচ্ছিক বিষয়ে।
পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচিতে, বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
এছাড়া যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে, সেগুলোতে ৪৫ নম্বরের (রচনামূলক ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫ নম্বর) এবং ব্যবহারিক না থাকলে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫) পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে পারবে না।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে- এমন শিক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় বসতে পারবেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় থাকবে।
পরীক্ষার জন্য ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে।