গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
Published : 09 Aug 2023, 03:43 PM
আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি কয়েক মাস পর পুনরায় শুরু হয়েছে হাই কোর্টে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে শুনানি হয়।
পরে আদালত আগামী ১৪ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে দেয়।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৩ মে মাসে বিষয়টি শুনানির দিন ছিল। ওইদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রস্তুতির জন্য সময় আবেদন করেন। তখন আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৯ অগাস্ট দিন ঠিক করে দেয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা চলমান রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ মে খালেদার পক্ষে হাই কোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল ।
২০০৮ সালের ৫ মে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসমি থাকলেও তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছর এবং জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরেরর সাজা হয়েছে।
কোভিড মহামারীর সময় ওই দুই মামলায় সাজা খাটার মধ্যেই পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
বাসায় থেকে চিকিৎসা করার এবং বিদেশে না যাওয়ার শর্তে তিনি গুলশানের বাসায় থাকছেন।
আরও পড়ুন
খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলা: ফের পেছাল অভিযোগ গঠন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ জুলাই
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিচার শুরুর আদেশ
নাইকো দুর্নীতি: খালেদার অব্যাহতি আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর