নাইকো দুর্নীতি: খালেদার অব্যাহতি আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর

এদিন তার আইনজীবী আইনগত দিক তুলে ধরার পাশাপাশি এজাহারের অসঙ্গতিও তুলে ধরেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2022, 07:34 PM
Updated : 8 Nov 2022, 07:34 PM

নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানির পরবর্তী দিন আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঠিক করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

এ দিন ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪১ (ক) ধারা অনুযায়ী কেন, কিভাবে অভিযুক্ত অব্যাহতি পায়; আর কোন প্রেক্ষাপটে  ব্রিটিশ সরকার এ ধারা ফৌজদারি কার্যবিধিতে যুক্ত করে, তার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অব্যাহতির শুনানিতে আইনজীবী মামলাটির এজাহার পাঠ করে তার মধ্যে
অসঙ্গতিও তুলে ধরেন।

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এছাড়া সাবেক আইন মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসামি থাকলেও তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুন আছেন কারাগারে। বাকি ৬ জন জামিনে আছেন। এছাড়া আরেক আসামি কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। পরে কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।