গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন বিচারক।
Published : 20 Jun 2023, 05:03 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের জন্য ২৫ জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম মামলার এজাহার দেখে সাক্ষ্য দিতে গেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার আপত্তি জানান।
তিনি বলেন, “সাক্ষ্য আইনের ১৫৯ ধারা অনুযায়ী স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সাক্ষ্য দেয়ার একটি নিয়ম রয়েছে। তবে সেটি কোনমতেই সরাসরি দেখে দেখে হুবহু বয়ান হওয়া যাবে না। অথচ বাদী সেটাই করছিলেন। যে কারণে আমরা আদালতকে বলি যে, এই অনিয়ম ও অন্যায্যতার বিরুদ্ধে আমরা হাই কোর্টে যাব।”
এর আগে মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন। এরপর মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করলে আদালত তা আগামী ২৫ জুলাই এ মামলায় অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন।
গত ২৩ মে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন বিচারক।
এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক।
এছাড়া ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।