নারী দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ প্রতিপাদ্যে বুধবার এ দিবস পালিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2023, 07:55 PM
Updated : 7 March 2023, 07:55 PM

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ প্রতিপাদ্যে বুধবার এ দিবস পালিত হবে।

নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নারী দিবস পালন করে আসছে; পরে ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সমাজ, রাষ্ট্র ও পারিবারিক উন্নয়নে নারী পুরুষের অংশগ্রহণ উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের নেওয়া বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার সূচকে বাংলাদেশ অগ্রগামী। এ সাফল্যের মূলে রয়েছে নারীর উন্নতি ও ক্ষমতায়নে বিপুল বিনিয়োগ।

এছাড়া জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সনদ অনুসরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার কথা বলেছেন মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা, নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন এবং কর্মক্ষেত্র ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার।

“২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাসহ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করে জেন্ডার সমতাভিত্তিক দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।”

আলাদা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পুরুষদের তুলনায় নারীদের প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি ভিত্তি- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্মেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য নারী-পুরুষ সবাইকে আমরা তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছি। নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও উদ্যোক্তা তৈরিতে জয়িতা ফাউন্ডেশনের অনলাইন মার্কেট প্লেস 'ই-জয়িতা' চালু করা হয়েছে।”

নারী উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য অর্জিত হয়েছে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ পুরস্কার।

“নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা অর্জন করেছি জাতিসংঘ কর্তৃক 'প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' ও 'এজেন্ট অব চেঞ্জ' অ্যাওয়ার্ড। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কোর 'শান্তি বৃক্ষ' এবং গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্যে শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করায় ২০২১ সালে অর্জিত হয়েছে 'এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার'।”