দুদকের এ মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
Published : 31 Aug 2022, 08:01 PM
‘অনলাইন জুয়ার কারবারি’ সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে অভিযোগপত্রের ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রাইম ব্যাংক উত্তরা শাখার জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট শারমিন আকতার এবং মতিঝিল শাখার সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসিম গনি চৌধুরী এ দিন সাক্ষ্য দেন।
সেলিম প্রধানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন তার আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ রেখেছে আদালত।
সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে থাকা তিন মামলার মধ্যে দুটিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। দুদকের এ মামলায় জামিন না মেলায় তার মুক্তি মেলেনি। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব।
এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
সেখান থেকে সাতটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া জব্দ করার পাশাপাশি সেলিমের কর্মচারী আক্তারুজ্জামান ও রোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় ওই দিনই সেলিম প্রধানকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। পরে দুদক অবৈধ সম্পদের এই মামলা করে তার বিরুদ্ধে।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে তার ৫৭ কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার কথা বলা হয়।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
পুরনো খবর
আরও এক মামলায় জামিন পেলেন সেলিম প্রধান