গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছিল হাই কোর্ট।
Published : 21 Oct 2023, 07:33 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের জন্য দুদক যে আবেদন করেছিল, আপিল বিভাগে তার শুনানি হবে আগামী ১৬ অক্টোবর।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ঠিক করে দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া সাহেদকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৬ মাসের জামিন দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিল। পরে সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
সাহেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার রায় আসে গত ২১ অগাস্ট। ওইদিন ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালত বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ে এ মামলায় সাহেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ১ লাখ টাকা জারিমানা করা হয় তাকে। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয় রায়ে।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিস পাঠায় দুদক। নোটিসে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি।
এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া এবং অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে একটি আদালত।
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)