“কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, সেই সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে,” বলেন এ নির্বাচন কমিশনার
Published : 23 Jan 2024, 03:02 PM
ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রোজার কথা চিন্তা করে একেবারে ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোজার শেষ দিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "উপজেলা নির্বাচন করার সময়টা চলে এসেছে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। এরপর রোজা। রোজার মধ্যে তো নির্বাচন করা সম্ভব না। ঈদের পরপরই যাতে নির্বাচন হয়, সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব। "
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে কথা বলছিলেন আলমগীর।
তফসিল নিয়ে তিনি বলেন, "রোজায় ঈদের কিছুদিন আগে তফসিল ঘোষণা। নির্বাচনী প্রচার এবং নির্বাচন ঈদের পরে হবে। “
নির্বাচন ব্যালট পেপারে অথবা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন," আবার ব্যালট ইভিএম দুটোর সমন্বয় থাকতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ইভিএম কি পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য সে হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। এটা পেলে হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। "
দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় গত জুন মাসে।
আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দলীয় প্রতীক
২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। আর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবার তিন উপজেলায় দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।
২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদ বাদে বাকি দুটি পদ উন্মুক্ত রাখে। এবার উপজেলায় নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, "কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, সেই সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই। সমস্যাও নাই। আইন অনুযায়ী, দুইভাবে মনোনয়ন দেওয়ার নিয়ম আছে। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বা স্বতন্ত্র।“
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “স্বতন্ত্র হিসেবে যদি উপজেলা পরিষদে ভোট করতে চান চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে, উনি (প্রার্থী) যদি ইতোপূর্বে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে না থাকেন, তাহল ২৫০ জন ভোটারের সমর্থন রয়েছে এই মর্মে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আর যদি আগে নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে ২৫০ জনের স্বাক্ষর লাগবে না।"