ঝুঁকি মোকাবিলায় গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
Published : 29 Sep 2022, 09:36 PM
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলা এবং সামাজিক মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির ঝুঁকি দেখছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের যে একটি ঝুঁকি আছে… প্রায় মাস খানেক আগে থেকে আমরা কাজ করছি। আপনাদের মিডিয়াতেও এসেছে। প্রায় ৫০ জন ছেলে তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন। তারা কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি ও অনেক দূর এগিয়েছি। আশা করি, তারা ফিল্ডে অপারেশনে আসার আগেই হয়ত তাদের ধরতে পারব।”
আরেক ঝুঁকির কথা বলতে গিয়ে ডিমএপি কমিশনার বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করা। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজ করছে।
“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন গুজব রটিয়ে এবং বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সাম্প্রদায়িক যে উসকানি তৈরি করা হয়, এই ঝুঁকি কিন্তু সব সময় থাকে। উসকে দেওয়ার একটি প্রবণতা সবসময়ই থাকে।”
কুমিল্লার একটি মন্দিরে ২০২১ সালে কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে যে ঘটনা ঘটে, সে ধরনের অপতৎপরতা এ বছর যে হবে না তা উড়িয়ে দিতে চাইছেন না তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা সেটার ব্যাপারে নিজেরা মিটিং করেছি, পুলিশ সদরদপ্তরে আলাদাভাবে মিটিং করা হয়েছে।
“সারাদেশের ডিসি-এসপিদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ও মিটিং করেছে। আশা করছি, এই ধরনের পরিস্থিতি হয়ত উদ্ভব হবে না। তারপরও এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রস্তুত আছি মোকাবিলা করার জন্য।“
ঢাকার ২৪২টি পূজামণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আনসারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্য স্থায়ীভাবে থাকবে; আর বড় পাঁচটি মণ্ডপে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা দেওয়া হবে। বাকিগুলোতে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ নিজেদের থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবে।”
দুর্গাপূজা: আনন্দের উৎসবে ভয়ের মেঘ সরবে কবে?
পূজায় ৩ স্তরের নিরাপত্তা: পুলিশ সদর দপ্তর
দুর্গাপূজা এবার ৩২ হাজার মণ্ডপে
স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্য যৌথভাবে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন উল্লেখ করে শফিকুল বলেন, “কোনো সময়ের জন্য যেন পূজামণ্ডপ নজরদারির বাইরে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।”
পূজামণ্ডপে আসার সময় ব্যাগ বা পোটলা না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি কেউ এগুলো নিয়ে আসেন, তাহলে তা ফটকেই রেখে আসতে হবে।”
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “প্রতিটি থানা এলাকায় ছয় থেকে সাতটি করে মোবাইল টিম থাকবে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার ও তার চেয়ে উপরের কর্মকর্তারা ঘুরে ঘুরে মণ্ডপগুলোর পরিস্থিতি দেখবেন।
“প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে সব সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছে। মণ্ডপে নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ছাড়াও বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।“