সমাজের বাধা-ধরা নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজের পথ চলছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন, সেই চলায় বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে চড়ে অন্যদেরও তেমন প্রাণশক্তি নিয়ে বাঁচতে বললেন বাংলাদেশি এই পর্বতারোহী।
প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে কে-টু জয়ের পর রোববার এক বার্তায় তিনি বলেছেন, “আমার নিয়ম আমি নিজেই তৈরি করেছি। অবাধ আমার মন।
“কোনো ধরনের অবরোধের মধ্যে আমি থাকি না। আমার আশা, আপনাদের প্রত্যেকে একই ধরনের স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচুন।”
কে-টু বেইজক্যাম্পে ফিরে রোববার নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে ওই বার্তা দেন ২০১২ সালে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসাবে এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়া।
এর আগে শুক্রবার সকালে পাকিস্তানের কারাকোরাম পর্বতমালার ৮ হাজার ৬১১ মিটার উচ্চতার কে-টু চূড়ায় লাল-সবুজের পতাকা উড়ান ওয়াসফিয়া।
পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কে টু স্থানীয়ভাবে চোগোরি নামে পরিচিত। ‘হিংস্র পর্বত’ নামে পরিচিত কে-টু অনেক পর্বতারোহীর বিবেচনায় এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম।
কে টু এর পাশাপাশি ব্রড পিকেও উঠেছেন ওয়াসফিয়াররা; যেটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ফাইচান কাংরি, যেটির উচ্চতা ৮ হাজার ৬৮ মিটার।
সেভেন-সামিটিয়ার বা পৃথিবীর সাত মহাদেশের সব বড় পর্বতজয়ী একজন ওয়াসফিয়া; ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ‘অ্যাডভেঞ্চারার অব দ্যা ইয়ার’ স্বীকৃতিও আছে তার ঝুলিতে।
রোববার ফেইসবুকে কে-টু চূড়ায় নিজের একটি ছবি যুক্ত করে দেওয়া বার্তায় ওয়াসফিয়া বলেন, “৮৬১১ মিটার (২৮ হাজার ২৫১ ফুট) উচ্চতার কে-টু চূড়ায় আরোহন—যা পুরো পর্বতের গুটিকয়েক সমতল জায়গার একটি।
“এই গ্রহ ছেড়ে যাওয়ার সময় যখন আমার সামনে আসছে, তখন জেনে রাখুন, জীবনের বড় অংশজুড়ে আমি মুক্ত জীবন কাটিয়েছি কিংবা তার আকাঙ্কায় ছিলাম, সমাজ ও মানুষ কী বলল, তার পরোয়া না করে।”