র্যাব বলছে, " পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা কাজিমুদ্দিনের সঙ্গে লতিফের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল এবং তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত।"
Published : 09 Feb 2024, 01:10 PM
আশুলিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, সাভার থেকে মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খাঁনকে (৩২) বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৪ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার দুপুরে কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসে কমান্ডার মঈন বলেন, বুধবার আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় 'লিপি ডেইরি ফার্মের' থেকে এর মালিক কাজিমুদ্দিনের (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার লতিফ ব্যবসায়ী কাজিমুদ্দিনের ভাতিজা। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে লতিফ তার চাচাদের সঙ্গে থাকতেন।
“পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা কাজিমুদ্দিনের সঙ্গে লতিফের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল এবং তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত।"
হত্যার আগের দিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কাজিমুদ্দিন তার ফার্ম দেখতে গিয়েছিলেন। পরে স্ত্রী সন্তানকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে রাতে ফার্মেই থেকে যান তিনি।
“রাতে লতিফ ফার্মে এসে তার চাচার সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেন। পরে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রুমে থাকা বটি নিয়ে লতিফ তার চাচা কাজিমুদ্দিনের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। এরপর লতিফ বটি পাশের রুমে রেখে ওই রুমের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।”
কমান্ডার মঈন বলেন, পরদিন কাজিমুদ্দিনের স্ত্রী ফার্মে গিয়ে বিশ্রামাগারের দরজা তালা দেওয়া দেখে ধারণা করেন, তার স্বামী হয়ত কোনো কাজে বাইরে গেছেন।
“পরে কাজিমুদ্দিনের স্ত্রীর কাছে থাকা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে রুমটি খোলা হলে ভেতরে স্বামীর লাশ পান।”