ক্ষমতাসীনরা পালাবার পথও পাবে না- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকারের কেউ পালিয়ে যাবে না।
তিনি বলেছেন, “প্রতিদিন বিএনপি বলছে- শেখ হাসিনা পালাবার রাস্তা পাবে না। সরকারের কেউ পালাবে না। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে এবং ইনশাআল্লাহ জনগণকে নিয়ে রাজনৈতিকভাবেই যত হুমকি আসুক, আমরা সেটা মোকাবিলা করব।”
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক পরিচালক ডমেনিকো স্কালপেল্লি নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বিএনপি বলছে আন্দোলন সমাবেশ করে সরকারের পতন ঘটাবে, শেখ হাসিনা পালাবার জায়গা পাবে না, পালাবার রাস্তা পাবে না। শেখ হাসিনা কি পালায়? উল্টো দেশে আসে।
“যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে দেশে আসতে দেবে না, আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে চাপ প্রয়োগ করি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুও কোনোদিন এদেশ থেকে পালিয়ে যাননি।”
বিএনপি আন্দোলনের নামে ‘বিশৃঙ্খলা’ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটা মোকাবেলা করবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
“আমরা নির্বাচিত সরকার। আমাদের দায়িত্ব হলো দেশবাসীর, সব শ্রেণিপেশার মানুষের শান্তি নিশ্চিত করা, তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সুশৃঙ্খল, অনেক দক্ষ।
“তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে, সংখ্যায়ও তারা অনেক বেশি। তারা এটা করবে। তার সঙ্গে আমরা যারা রাজনৈতিক কর্মী বা আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আমাদেরও দায়িত্ব সরকারকে সমর্থন করা, সহযোগিতা করা।”
‘আমনের বাম্পার ফলনের খবর আসছে’
বিশ্বের অনেক প্রান্তে দুর্ভিক্ষের আলোচনা হলেও এবার বাংলাদেশে আমনে স্মরণকালের সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তবে ফলনের চূড়ান্ত কোনো হিসাব এখন জানাতে পারেননি তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “সারা দেশ থেকেই আমনের বাম্পার ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা মনে করেছিলাম, শ্রাবণ মাসে মাত্র একদিন বৃষ্টি হয়েছে, কৃষকরা হয়ত ধান লাগাতেই পারবে না, উৎপাদন কমে যাবে।
“কিন্তু এই প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সবাই বলছে- স্মরণাতীতকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে।”
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমান করছে- পৃথিবীতে একটি খাদ্য সংকট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে।”
আলোচনা শেষে ডমেনিকো স্কালপেল্লি বলেন, “বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা নেই। তবে ইউএসএ, অস্ট্রেলিয়া, ইউকের মতো সব দেশকেই আগামী বছর খাদ্য নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের সব দেশকেই গরিব মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”