বিএনপির সমাবেশ বাধাহীন এবং জনদুর্ভোগের নিরসন চায় আসক

এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে প্রতিবাদও জানানো হয় আসকের পক্ষ থেকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2022, 05:54 PM
Updated : 14 Nov 2022, 05:54 PM

শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

সম্প্রতি বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে সরকার সমর্থকরা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ আমলে নিয়ে এই দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

আসক বলছে, পুলিশ-প্রশাসন, সরকার দলীয় কর্মী কিংবা সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অধিকার লঙ্ঘন, আক্রমণ, সহিংসতা উদ্রেক ঘটানো এবং নানাভাবে হয়রানি-গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তীব্রতর হচ্ছে।

এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে প্রতিবাদও জানানো হয় আসক’র নির্বাহী পরিচালক নূর খান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, “গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এ সমাবেশ করতে গিয়ে বিএনপি যেমন বিপত্তি বা বাধার মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় কষ্ট।

“বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানা যাচ্ছে, সমাবেশের কয়েকদিন আগ থেকেই পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ গণপরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছে। এ ধরণের অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে জনদুর্ভোগ তীব্রতর হয়ে উঠেছে। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।

“যে অল্প পরিসরে যানবাহন পাওয়া যায়, তার লাগামহীন ভাড়া জনগণকে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম থেকে আরও জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের আগে ও পরে বিএনপির কর্মীদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।”

বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের উপর চাপ বাড়াতে সরকার এমন অভিযান চালাচ্ছে এবং সমাবেশকেন্দ্রিক প্রচারে বাধা দিচ্ছে। তবে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হচ্ছে, বাধা নয়, বরং সহযোগিতাই করছে সরকার।  

বিবৃতিতে বলা হয়, “যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে এটা প্রতীয়মান হয় যে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ, প্রশাসন এবং সরকারদলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নানা তৎপরতা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ তীব্রতর করছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”

“শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করা ও সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার বাংলাদেশ সংবিধান (অনুচ্ছেদ ৩৩) এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে স্বীকৃত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে এ অধিকার চর্চার ক্ষেত্র ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।