প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রী মৃত্তিকা গাইন ও চিত্রশিল্পী হ্লুবাইশু চৌধুরী উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলে ধরেছেন।
Published : 20 Jan 2024, 03:25 PM
ঢাকার বনানীতে 'বাতিঘর স্মৃতিতে স্মরণে আলী যাকের' শিরোনামে শুরু হয়েছে চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'রাইজিং ইকোস'।
প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রী মৃত্তিকা গাইন ও চিত্রশিল্পী হ্লুবাইশু চৌধুরী উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলে ধরেছেন।
খুলনায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা মৃত্তিকা গাইন বর্তমানে আলোকচিত্রের মাধ্যমে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা সম্প্রদায়ের হ্লুবাইশু চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক।
প্রদর্শনীর কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন শিক্ষাবিদ ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট শামসুল আলম হেলাল। এর আগে ছবি মেলা ও ঢাকা আর্ট সামিটের প্রদর্শনীতেও কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
দশ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন। শনিবার শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর নানা দিক তুলে ধরা হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সারা যাকের। এছাড়া ইরেশ যাকের, আলোকচিত্রী মৃত্তিকা গাইন ও চিত্রশিল্পী চৌধুরীও বক্তব্য রেখেছেন।
মৃত্তিকা গাইন তার আলোকচিত্রের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদী ভাঙনের ফলে খুলনার দাকোপের মানুষের ভোগান্তি তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, "আমি খুলনার মেয়ে, সেখানে নদী ভাঙন খুব কাছ থেকে দেখেছি। নদী ভাঙনের মধ্য দিয়ে কিভাবে মানুষের ভাষা এবং অবস্থানের পরিবর্তন হয়, তা বোঝার চেষ্টা করেছি। নারীরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয় নদী ভাঙনের।"
হ্লুবাইশু চৌধুরী তার চিত্রকলার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন রাঙামাটিতে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রাকৃতিক দৃশ্যের বিকৃতির প্রতিচ্ছবি।
এ তরুণ চিত্রশিল্পী বলেন, "আমার বেড়ে ওঠা খাগড়াছড়িতে, সেখানে জীবনযাত্রার যে পরিবর্তন- সেটা আমি অবজার্ভ করেছি। কিভাবে সেখানে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে।"
সারা যাকের বলেন, "বাংলাদেশি হিসেবে দেশের ভুক্তভোগী মানুষের দুর্দশার কারণ খুঁজে বের করে তাদের এবং সমাজের কল্যাণে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শিবসা নদী ভাঙন ও কাপ্তাই বাঁধ থেকে কাপ্তাই লেকের সৃষ্টি এক্ষেত্রে বড় উদাহরণ।"
এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমাদের একটি সহানুভূতিশীল ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করে বলেও জানান অভিনেত্রী সারা যাকের।