Published : 05 Jul 2023, 02:33 PM
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী গত ২২ জুন ওই অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পারেন বুধবার।
প্রসিকিউশন পুলিশের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী ১৩ জুলাই অভিযোগপত্রটি মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি ‘দেখিলাম’ বলে সেদিন স্বাক্ষর করে অভিযোগপত্র পর্যবেক্ষণ করবেন। অভিযোগপত্র গ্রহণের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে সেটা ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালে পাঠানো হবে।
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং নিরাপত্তা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাইজ ইবনে আনোয়ার ছাড়াও বিমানের এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এনামুল হক, মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, হারুন অর রশিদ, সমাজু ওরফে সোবাহান, জাকির হোসেন, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন এবং হেলপার জাবেদ হোসেনের নাম রয়েছে অভিযোগপত্রে।
২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও: পুলিশ
বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে ধরা ৫ কর্মী; পরীক্ষা স্থগিত
বিমানের প্রশ্নফাঁসে এমডির দপ্তরের কর্মী: ডিবি
ওই ঘোষণায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে’ পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল) পদে ওই নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
সে সময় বিমানের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলেছিল, প্রশ্নপত্র বিক্রির বিনিময়ে দুই থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে।ওই ঘটনায় বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘জড়িত’ থাকারও তথ্য মিলেছে জিজ্ঞাসাবাদে।