অঞ্চলভিত্তিক পরের শুনানি হবে ৭, ১১ ও ১৪ মে।
Published : 03 May 2023, 11:28 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন; যাতে প্রথম দিনের আপত্তিগুলোর মধ্যে বেশি আলোচনা এসেছে কুমিল্লার চারটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি উপজেলা।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি ও আপত্তির সবগুলো আবেদন শুনেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
এদিকে শুনানির প্রথম দিনে এসে নির্বাচন ভবনের বাইরে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কুমিল্লা ১ ও ২ আসনের সংক্ষুব্ধদের কয়েকজন। পরে পুলিশ এসে তাদের থামানোর আগেই এক নারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রথম দিনের শুনানি শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, “সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে শুনানি শেষে। যতগুলো আবেদন আমাদের কাছে আছে সেগুলো কমিশন শুনবে। এখানে যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন সেটাকে কমিশন বিশ্লেষণ করবে। নীতিমালা অনুযায়ী বিবেচনা করে তারপরে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি এবং তা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
বুধবারের শুনানির পর ৭, ১১ ও ১৪ মে অঞ্চলভিত্তিক বাকি শুনানি হবে।
এবার আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তনের পর নির্ধারিত সময়ে ৩৮ আসনে ১৮৬টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে সীমানা বহালের পক্ষে ৬০টি এবং আপত্তি জমা পড়ে ১২৬টি।
ইসি জুনের মধ্যে প্রস্তাবিত সীমানা চূড়ান্ত প্রকাশের কথা জানিয়েছে।
কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তি
ইসি সচিব জানান, কুমিল্লাতে এক সময় ১২টি আসন ছিল। ২০০৮ সালে একটি আসনকে সমন্বয় করে ১১টি করা হয়েছে।
নাঙ্গলকোটের পক্ষে একজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং অন্যরা একটি নতুন আসন অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন করেছেন। নাঙ্গলকোট যেহেতু একসময় একটি স্বতন্ত্র আসন ছিল, সেটাকে পুর্নবহালের আবেদন এসেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ আসনে নবীনগরের একটি অংশ আরেকটি আসনের সঙ্গে বিভক্ত ছিল। সেটির পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন করা হয়েছে।
সংসদীয় আসন: প্রস্তাবিত সীমানা নিয়ে শুনানিতে বসছে ইসি
সচিব জাহাংগীর জানান, কেউ চাচ্ছেন আগের মত বহাল রাখার জন্য আবার কেউ চাচ্ছেন কয়েকটি ইউনিয়ন অন্য জায়গা থেকে সংযোজন-বিয়োজন আরেকটি আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য।
কুমিল্লা ১ আসনের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা, দাউদকান্দি এবং মেঘনা উপজেলা। কুমিল্লা ২ এর মধ্যে রয়েছে হোমনা এবং তিতাস উপজেলা। এরমধ্যে শুনানিতে দাউদকান্দি, হোমনা, তিতাস নিয়ে সংক্ষুব্ধদের আইনজীবীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
“কমিশনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যতগুলো আবেদন পড়েছে সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে কমিশন পূর্ণাঙ্গ মিটিং করে তারপর প্রজ্ঞাপন আকারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন,” বলেন ইসি সচিব।