প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এবার রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে হবে এ নিয়োগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2023, 03:07 PM
Updated : 22 March 2023, 03:07 PM

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে; যেটির আওতায় নিয়োগ হবে তিন বিভাগে।

বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য শিক্ষক নিয়োগের এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে কতসংখ্যক পদে এবার নিয়োগ দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে চলবে ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

এর আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। তখনও আসন সংখ্যা বলা হয়নি।

Also Read: তিন বিভাগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

Also Read: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৩৭,৫৭৪

আগ্রহী প্রার্থীরা http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে আবেদনের তথ্যাদি পাবেন।

আবেদনের জন্য ফি দিতে হবে মোট ২২০ টাকা, যেখানে আবেদন ফি ২০০ টাকা এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২০ টাকা।

আবেদনের জন্য প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ (৪) স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮সহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনের জন্য সাধারণ প্রার্থীদের আগামী ১৪ এপ্রিল ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স হতে ৩০ বছর।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটাধারী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ২১ থাকলেও সর্বোচ্চ বয়স দুই বছর বেশি অর্থাৎ ৩২ বছর হলেও আবেদন গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের স্মারক অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যেসব প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে ছিল তারাও এই বিজ্ঞপ্তির অধীনে আবেদন করতে পারবেন।

এর আগে কোভিড মহামারীর কারণে পরীক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া দুই বছরের বেশি সময় পর শেষ হয় সম্প্রতি। গত ১৪ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করার ফল প্রকাশ করা হয়। তবে এর মধ্যে সবাই চাকরিতে যোগ না দেওয়ায় পদশূন্য থাকে। সেসব শূন্যপদের সঙ্গে আরও কিছু পদ মিলিয়ে ক্লাস্টারভিত্তিতে বিভাগ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে অধিদপ্তর।   

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৪ হাজার শিক্ষকের মধ্যে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার জন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএলে) যান।