বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রী কম থাকায় তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারেনি।
Published : 02 Nov 2023, 10:07 AM
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা অবরোধের শেষ দিনেও ঢাকার সদরঘাট থেকে দক্ষিণের পথে চলাচল করছে লঞ্চ।
যাত্রী কম থাকায় বৃহস্পতিবার সকালের শিডিউলের তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুরের উদ্দেশে সোনার তরী-২ ও ইমাম হাসান ছেড়ে যায়। ভোলার ইলিশার উদ্দেশে ছেড়ে যায় দোয়েল পাখি-১০ ও কর্ণফুলী-১৪। বরিশালের মুলাদীর উদ্দেশে ছেড়ে যায় দ্বীপরাজ-৪ এবং মৃধারহাটের ছেড়ে যায় আওলাদ-২ । অপরদিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার দিকে ছেড়ে যায় সুরেশ্বর -১ লঞ্চ।
অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার ৩৫টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলে জানান তিনি। আর দেশের অন্যান্য গন্তব্য থেকে সদরঘাটে ভিড়েছে ৩৬টি লঞ্চ।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কাকরাইলে সংঘর্ষের পর হরতালের ডাক দেয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এরপর মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ডাকা হয় অবরোধ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই হরতাল-অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন ও প্রাণহানির খবর আসছে।
সহিংসতার শঙ্কায় সড়কপথে বাস চলাচল করছে কম। সে কারণে সাপ্তাহিক কর্মদিবসগুলোতেও ঢাকার সড়কে নেই যানজটের আগের চিত্র।
হরতাল-অবরোধের এই প্রভাব কিছুটা পড়েছে নৌপথেও। অবরোধের প্রথম দুদিন সদরঘাটে যাত্রী ছিল কম। শেষ দিন বৃহস্পতিবার যাত্রী কিছুটা বেড়েছে বলে জানান মিতালী-৫ লঞ্চের মাস্টার সেলিম মৃধা।
তার ভাষ্য, “প্রথম দুইদিন যাত্রীর অভাবে মিতালী-৫ লঞ্চ ছাড়েনি। তবে বৃহস্পতিবার একটু যাত্রীর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার হওয়ায় আসার পথেও যাত্রী পাওয়ার সম্ভবনা আছে।”
সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নৌপথে যাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত করছে। সবকিছু স্বাভাবিক, আর নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছে।”