আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
Published : 19 Dec 2023, 08:27 PM
একটি মহল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ‘বানচালের অপচেষ্টা’ করছে দাবি করে তা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ৯১ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক সুরাইয়া আক্তারে স্বাক্ষরে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে ওই বিবৃতিটি পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়, “গত ২৯ অক্টোবর থেকে অদ্যাবধি বিএনপি-জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিপুল সংখ্যক যানবাহন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজিরবিহীন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি খাদ্যপণ্য বহনকারী যানবাহন, কাঁচামাল বহনকারী ট্রাক ও পিকআপও তাদের এ তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি।
“গত ১২ ডিসেম্বর গাজীপুরের রেল লাইনের ফিস প্লেট উপড়ে ফেলা ও আজ ১৯ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা বিমানবন্দর ও তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে সন্ত্রাসীচক্রের অগ্নিসংযোগের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিরোধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা।”
সারাদেশে নির্বাচনের ‘উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে’ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের একটি চিহ্নিত মহল সংবিধানের একটি নির্ধারিত ধারার অপব্যাখ্যা দিয়ে নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তন করে সাংবিধানিক অচলাবস্থা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত।”
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “সকল বিভ্রান্তি ও বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুব্ধ হয়ে উন্নয়নের ধারা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রি মহল দেশের জনগণ ও নির্বাচনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
“রাজনীতির আড়ালে সক্রিয় উন্নয়ন ও প্রগতিবিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের সচেতন নাগরিকদের সোচ্চার হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ দেশের সকল নাগরিককে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সফলভাবে সম্পন্ন করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”
সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ছাড়াও বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, নজিবুর রহমান ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী, সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, মো. আবদুল হান্নান, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক, সাবেক সচিব সেলিনা আফরোজ, সাবেক সচিব মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও মো. আখতারুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শিল্পী হাশেম খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল ওয়াদুদ, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এ কে এম আজাদ, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি ইকবাল আর্সলানসাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. আছাদুজ্জামান মিয়া রয়েছেন বিবৃতিদাতাদের মধ্যে।