রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই: আইনমন্ত্রী

মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল, নতুন রাষ্ট্রপতি আসছেন বলে জানালেন আনিসুল হক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2023, 02:16 PM
Updated : 4 Jan 2023, 02:16 PM

মো. আবদুল হামিদ তার দ্বিতীয় মেয়াদও শেষ করতে যাচ্ছেন বলে রাষ্ট্রপতি পদে নতুন কেউ আসবেন; আর সেই নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী, কোনো ব্যক্তির দুই বারের বেশি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার সুযোগ নেই। আবদুল হামিদ এখন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে তার শেষ মেয়াদ।

বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

তখন তিনি নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, “যেহেতু তিনি (আবদুল হামিদ) দুই টার্ম থেকেছেন, সংবিধান অনুযায়ী তিনি আর বেশি থাকতে পারেন না। সেহেতু আমরা নতুন রাষ্ট্রপতি দেখব, ইনশাল্লাহ।”

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত।

এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন আইনমন্ত্রী।

“এখন পর্যন্ত সংবিধান পাল্টানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। নির্ধারিত সময়েই মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে।”

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে একথা বলেন তিনি।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- (১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হইলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি নেতাদের জামিন নিয়ে মন্ত্রী

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের উপর নির্ভর করছে বলে মম্তব্য করেন আনিসুল হক।

তিনি বলেন, “আদালতের কাজে আইন মন্ত্রণালয় তো নয়ই, সরকারের অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ও হস্তক্ষেপ করছে না। আদালত যদি মনে করে থাকে, যে জামিন দেওয়া যাবে, আদালত জামিন দিয়েছে। যদি মনে করে থাকে যে, জামিন দেওয়া যাবে না, তখন দেয়নি।”

ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন বিচারিক আদালতে বারবার নাকচ হয়েছে। পরে হাই কোর্ট থেকে তারা জামিন পান। তবে সেই জামিন আটকাতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছে আপিল বিভাগে, তার শুনানি হবে রোববার।

আইনমন্ত্রী বলেন, “এটা অহরহ হয়ে থাকে যে নিম্ন আদালত জামিন দেননি, উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। আবার এমনও হয়, নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছেন, উচ্চ আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করে তা আটকে দিয়েছেন। এটা নতুন কিছু না বাংলাদেশে। এটা নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন, তারা হয়ত জাতীয় পার্টি-বিএনপির আমল দেখেননি বা দেখলেও তারা সেইসব অভিজ্ঞতার কথা এখন বলতে চান না।”